বাঁদিকে নরেন্দ্র মোদী, ডান দিকে অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির ভোটের আগে শিল্পপতিদের ঋণ মকুব নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ালেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর ঠিক আগেই।
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়ে শিল্পপতিদের ঋণ মকুব নিষিদ্ধ করার জন্য নতুন আইন আনার দাবি তুলেছেন। চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘ঋণখেলাপি কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়ার অনৈতিক প্রবণতা বন্ধ করার জন্য জাতীয় স্তরে একটি আইন রূপায়ণের প্রয়োজন।’’
বড় ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের ঋণ মকুব ঘিরে গত এক দশকে বারে বারেই অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। উঠেছে ব্যাঙ্কের ঘাড়ে চেপে থাকা অনুৎপাদক সম্পদের বিপুল বোঝা আরও ফুলেফেঁপে ওঠার অভিযোগ। কেজরীর প্রশ্ন— ‘‘সাধারণ মানুষ তাঁদের অর্ধেক বেতনই কর হিসাবে দিচ্ছে। কিন্তু কোটিপতিদের ঋণ কেন মকুব করা হচ্ছে? কেন কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ নাগরিকদের গৃহঋণ, গাড়ির ঋণ বা অন্যান্য আর্থিক বোঝা মকুব করে না?’’
দিল্লির এ বারের বিধানসভা ভোটে মধ্যবিত্তদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কেজরী। গত সপ্তাহে তিনি কেন্দ্রের কাছে দাবি তুলেছিলেন, মধ্যবিত্তের কথা ভেবে আসন্ন বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা ৭ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করা হোক। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের মতে, প্রাক্তন আইআরএস অফিসার কেজরী আঁচ করেছেন, মোদী সরকার এ বার ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়াতে পারে। তাই ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ভোটের আগে কৃতিত্ব নিতে নিজেই সেই দাবি তুলেছেন। এ বার কর্পোরেট কর নিয়ে মোদী সরকারের নিশানার মূল উদ্দেশ্যও সেই ‘মধ্যবিত্ত ভোট’।