প্রতীকী ছবি।
আর তিনি জুয়া খেলবেন না। থানায় এসে পুলিশকে ‘মুচলেকা’ দিয়ে গেলেন রবি কিশোর। শুধু জুয়াই নয়, এই খেলায় কাউকে উৎসাহও দেবেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। থানা থেকে বেরোনোর সময় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “২০ বছর ধরে জুয়া খেলছি। পুলিশের সহযোগিতায় এখন আমি ভাল ভাবে জীবন কাটাতে চাই। এক জন ভাল নাগরিক হয়ে উঠতে চাই।” একইসঙ্গে রবি জানিয়েছেন, তিনি যদি আবার জুয়া খেলা শুরু করেন, তা হলে পুলিশ যা পদক্ষেপ করবে, তা তিনি মাথা পেতে নেবেন।
শুধু রবি কিশোরই একা নন। তাঁর মতোই আরও এক হাজারেরও বেশি জুয়াড়িকে এমনই ‘মুচলেকা’ দেওয়াল উত্তরপ্রদেশের আগরার পুলিশ। জুয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে আগরা পুলিশ। জুয়া আসক্ত বহু ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবন, সংসার ছারখার হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু জুয়া আসক্ত সেই সব ব্যক্তিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতেই জুয়াড়িরা আগরার বিভিন্ন থানায় গিয়ে ‘মুচলেকা’ দেওয়া শুরু করেছেন।
আগরার পুলিশ কমিশনার জে রবীন্দ্র গৌড় বলেন, “যাঁরা স্বভাবগত ভাবে জুয়াড়ি, তাঁদের জন্যই এই উদ্যোগ। জুয়ার কারণে ঘরবাড়ি, আসবাব এমনকি গয়না বিক্রি করছেন অনেকে। জুয়ার কারণে অপরাধ বাড়ছে শহরে। তাই এই উদ্যোগ।” প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাঁরা ‘মুচলেকা’ দিয়েছেন, তাঁদের উপর নজর রাখতে। তাঁরা যাতে আবার জুয়ায় আসক্ত না হন, সে বিষয়টিও সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে।