একের পর এক ট্রেনে অগ্নি সংযোগ। ছবি: পিটিআই।
শুরুটা হয়েছিল বিহারের ছপরা রেল স্টেশনে ট্রেন পোড়ানো দিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে অন্তত ৬টি ট্রেনে আগুন লাগালেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার পুড়ল উত্তরপ্রদেশের বালিয়া, তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে দাঁড়ানো ট্রেন।
শুক্রবার সকালে পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের বালিয়া স্টেশনে একটি ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। ভাঙচুর করা হয় রেলস্টেশনও। পুলিশ এবং রেলরক্ষী বাহিনীর সদস্যেরা দ্রুত গিয়ে জ্বলন্ত কামরাগুলি সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি সামলেছেন।
অন্য দিকে, তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে আগুন লাগানো হয় একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে। পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেশন চত্বরেই আন্দোলনকারীরা ঢুকে পড়ে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ‘অগ্নিকাণ্ড’ ঘটায়।
শুক্রবার সকালে বিহারের সমস্তিপুর জেলার মহিউদ্দিননগর স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করে একদল জনতা। সেই সময় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে আগুন লাগানো হয়। বেগুসরাইয়ের স্টেশনে ভাঙচুর চালান এক দল আন্দোলনকারী। ‘অগ্নিপথ’-এর আগুনে পোড়ে বিহারের লখিসরাই এবং সমস্তিপুর স্টেশনে দাঁড়ানো নয়াদিল্লি-ভাগলপুর বিক্রমশীলা এক্সপ্রেস এবং নয়াদিল্লি-দ্বারভাঙ্গা বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস।
অন্য দিকে, অগ্নিপথ আন্দোলনের জেরে ২০০টি ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। ৩৫টি ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ১৩টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। আন্দোলনের আঁচ পড়েছে এ রাজ্যের ট্রেন পরিষেবাতেও। হাওড়া থেকে বাতিল হয়েছে তিনটি ট্রেন। পটনা জনশতাব্দী, নয়াদিল্লি দুরন্ত এবং উপাসনা এক্সপ্রেস বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।