Agneepath scheme

অগ্নিপথ প্রকল্প দেশের স্বার্থে, আদালত হস্তক্ষেপ করবে না, আবেদন খারিজ করে জানাল দিল্লি হাই কোর্ট

আদালতের যুক্তি, দেশের স্বার্থে এবং যে কোনও প্রতিরক্ষামূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী এবং সংগঠিত করতেই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৫
Share:

২০২২-এর ১৪ জুন ভারতীয় যুবকদের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ফাইল চিত্র ।

দিল্লি হাই কোর্টে মুখরক্ষা কেন্দ্রের। সশস্ত্র বাহিনীতে প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনগুলি খারিজ করল আদালত। দিল্লি হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে হস্তক্ষেপ করার কোনও যথাযথ কারণ নেই। আদালতের যুক্তি, দেশের স্বার্থে এবং যে কোনও প্রতিরক্ষামূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী এবং সংগঠিত করতেই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল।

Advertisement

দিল্লি হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আবেদনগুলি খারিজ করার সময় ডিভিশন বেঞ্চ আরও উল্লেখ করেছে, আবেদনকারীদের এই ভাবে নিয়োগ চাওয়ার কোনও অধিকার নেই। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই রায় সংরক্ষিত ছিল।

২০২২-এর ১৪ জুন ভারতীয় যুবকদের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এই প্রকল্পের অধীনে নির্বাচিত প্রার্থীরা ‘অগ্নিবীর’ হিসাবে চার বছরের জন্য দেশের সেবা করবেন।

Advertisement

অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৬ হাজার প্রার্থীকে ভারতীয় স্থলসেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনাতে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার প্রধানদের বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন, সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের তরুণ-তরুণীদের ‘অগ্নিবীর’ হিসাবে নিয়োগ করা হবে। সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ সেনাবাহিনী তৈরি করাই এই প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য বলেও কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরই সারা দেশে আগুন জ্বলে ওঠে। যার সূত্রপাত হয়েছিল বিহারে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, ভারতীয় সেনায় সাধারণ ভাবে অফিসার এবং জওয়ান নিয়োগের বয়স ১৮-২৫ বছর। নতুন বয়ঃসীমায় অনেক যুবকই কাজের সুযোগ হারাবেন। তা ছাড়া, করোনা আবহে দু’বছর সেনায় নিয়োগ বন্ধ থাকায় চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বেড়েছে। ফলে অনেকেরই আর সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের স্বপ্নপূরণ হবে না। এর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রথম ব্যাচে অগ্নিবীর নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করার কথা ঘোষণা করে। তবে এতেও শান্ত হয় না পরিস্থিতি। অগ্নিপথ প্রকল্পে ‘চুক্তিভিত্তিক সেনা’ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সশস্ত্র বাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগে পাকাপাকি ইতি টানা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের হাই কোর্ট কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়। একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লি হাই কোর্টেও। সেই সব আবেদনকেই সোমবার খারিজ করল আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement