মহারাষ্ট্রে মন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা হাসান মুশরিফের কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক দল অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে। বুধবারের এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ মুম্বইয়ে বিধায়ক হস্টেলের সামনে তাঁর এসইউভি দাঁড় করানো ছিল। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এক দল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে মন্ত্রীর গাড়ির উপর হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িটি। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, বিক্ষোভকারীরা ‘এক মরাঠা, লাখ মরাঠা’ স্লোগান দিতে দিতে গাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছিলেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তিন জন হামলাকারীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে তারা।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ছত্রপতি শম্ভজিনগর থেকে এই বিক্ষোভকারীরা এসেছিলেন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মন্ত্রীর ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তবে ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন না মন্ত্রী হাসান মুশরিফ। এই ঘটনার পরই মন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বীড় জেলার এনসিপি বিধায়ক প্রকাশ সোলাঙ্কির বাড়িতে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। বিধায়কের বাংলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের সংরক্ষণ আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন বিধায়ক। তাঁকে ‘শিক্ষা’ দিতেই হামলা চালানো হয়েছে।
সংরক্ষণের দাবিতে ক্রমশ তাতছে গোটা মহারাষ্ট্র। দিকে দিকে বিক্ষোভ, অবরোধ চলছে। একের পর এক মন্ত্রী, বিধায়কের উপর হামলার ঘটনার পরই রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী এবং দলীয় কার্যালয়গুলিতে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। মরাঠাওয়াড়ার পাঁচটি জেলায় সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে বীড় জেলার বেশ কিছু অংশে।