বামেদের বিক্ষোভ-ধর্না কর্মসূচি।—নিজস্ব চিত্র।
কেতুগ্রামে ছাত্রীর মৃত্যু, সবংয়ে ছাত্র হত্যা বা জীবনতলায় ত্রাণ শিবিরে মহিলাকে ধর্ষণ। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই ছবি এ বার দিল্লির দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করল বামেরা। সংসদ ভবন চত্বরে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ-ধর্নায় বসলেন বাম সাংসদেরা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দিল্লিতে। তাঁর আমলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের কী হাল হয়েছে জাতীয় স্তরে তা তুলে ধরার জন্যই এ দিন সংসদের বাইরে ধর্না কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছিল বামেরা। যখন এই পরিকল্পনা করা হয়, তারই মধ্যে আবার পর পর ঘটে গিয়েছে কেতুগ্রাম বা সবংয়ের মতো ঘটনা। এ সবের প্রেক্ষিতে বামেদের কৌশল ছিল, মুখ্যমন্ত্রী যখন দিল্লিতে থাকবেন সেই সময়েই তাঁর রাজ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার বিষয়ে জাতীয় রাজনীতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এ দিন সংসদ চত্বরে সেই কাজই করলেন বাম সাংসদেরা। যদিও তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েনের দাবি, নিজেদের রাজ্যে মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বাম ও কংগ্রেস। তারা এখন হাত মিলিয়ে নানা ভাবে নজর কাড়ার চেষ্টা করছে।
সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘বন্যা কবলিত পশ্চিমবঙ্গে ত্রাণ দেওয়ার বদলে শাসকদল বন্যা পীড়িতদের ধর্ষণ করছে। গৃহবধূকে ধর্ষণ করছে। তরুণীকে খুন করছে। পিটিয়ে মারা হচ্ছে ছাত্রকে। গোটা রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে। আর সরকার সত্যের অন্বেষণের বদলে মিথ্যাচার করছে।’’ এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘রাজ্যে যখন গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেতে চাইছেন।’’
এ দিন বামেদের ধর্না কর্মসূচিতে হাজির হন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য নয় বাংলার আইনশৃঙ্খলার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতেই এখানে আসা। তৃণমূলের আমলে রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, বামেরা তার প্রতিবাদে করায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানাতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রদীপবাবু।