প্রতীকী ছবি।
পকসো আইনে অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে বয়ঃসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার প্রস্তাব খারিজ করল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও বিবেচনার পরে এই প্রস্তাব যুক্তিগ্রাহ্য বলে মনে করেনি। ধর্ষণ, গণধর্ষণের মতো ঘটনায় যুক্ত অপ্রাপ্তবয়স্করা যথেষ্ট শাস্তি পায় না— এই যুক্তি তুলে অনেকে চেয়েছিলেন পকসো আইনে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে ১৬-র বেশি অথচ ১৮ বছরের কম বয়সি অভিযুক্তদের সাধারণ আইনে সাবালক হিসেবে বিচার করা হোক। কিন্তু কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য আনন্দ শর্মার নেতৃত্বাধীন ওই সংসদীয় কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে মনে করেছে, ১৬-১৮ বছরের যৌন অপরাধীরা যাতে দাগী অপরাধীতে পরিণত না হয়, তার জন্যই স্থিতাবস্থা বজায় রাখাটা জরুরি। এই সিদ্ধান্ত নথিভুক্ত করে বিষয়টি নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কাছে পাঠায় স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকও ওই স্থায়ী কমিটির যুক্তি মেনে নিয়ে জানায়, বয়ঃসীমা কমিয়ে নাবালকদের সাধারণ আইনের আওতায় আনলে লঘু অপরাধে অভিযুক্তরা পেশাদার অপরাধী হয়ে উঠতে পারে। মন্ত্রকের দাবি ১৬-১৮ বছর বয়স্ক অভিযুক্তদের উপযুক্ত বিচারের আইন পকসো-য় রয়েছে। সুতরাং সংশয়ের কারণ নেই। মন্ত্রকও এই যুক্তি দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, পকসোর বয়ঃসীমা কমছে না।