গুজরাতের বিজেপি প্রার্থী যোগেশ পটেল। ছবি: সংগৃহীত।
৭৬ বছর বয়সেও নির্বাচনী দৌড়ে শামিল হয়েছেন গুজরাতের বিজেপি প্রার্থী যোগেশ পটেল। বয়স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চটজলদি উদাহরণ হিসাবে আমেরিকার অশীতিপর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনাও টেনে আনছেন তিনি। যোগেশের মতে, ভোটযুদ্ধে বয়স বাধা হতে পারে না। প্রার্থীর প্রাণশক্তিই আসল কথা।
ডিসেম্বরের ১ ও ৫ গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। বরোদার মাঞ্জলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি লড়বেন। অষ্টম বার প্রার্থী হওয়ার পর যোগেশের মন্তব্য, ‘‘জো বাইডেনকে দেখুন। আশি বছর বয়সেও আমেরিকা সামলাচ্ছেন। জো বাইডেন যদি আশিতে পারেন, তবে ছিয়াত্তরে আমিও পারব!’’
বিজেপির প্রার্থীদের বয়সসীমা ৭৫ পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হলেও যোগেশের অদম্য মনোভাবের কাছে কার্যত হার মানতে হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে। তাঁকে ‘ছাড়’ দেওয়া হল কেন? প্রায় ৩ দশক আগে প্রথম বার বিধানসভা নির্বাচনের দৌড়ে নামা যোগেশের দাবি, মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন তিনি। এমনকি, যখন বিধায়ক ছিলেন না, তখনও মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছেদ হয়নি।
মাঞ্জলপুর কেন্দ্র থেকে তিনিই জয়ী হবেন, আশাবাদী যোগেশ। তাঁর দাবি, ৭৬ বছরেও তাঁর প্রাণশক্তিতে খামতি নেই। ফলে এই বয়সে এসে ভোট বৈতরণী পার করে ফেলবেন। বিধায়ক হিসাবে ৩২ বছর গুজরাত বিধানসভায় কাটানো যোগেশের দাবি, আপ বা কংগ্রেস প্রার্থীদের জমানত বাজেয়াপ্ত হবে। আবারও জয়ী হবেন তিনি। যোগেশের মন্তব্য, ‘‘৮ ডিসেম্বরের জন্য অপেক্ষা করুন।’’ সে দিনই গুজরাত বিধানসভার ফলাফল ঘোষিত হবে।