সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডিয়া’র অন্য শরিক দলগুলির সাংসদদের। মঙ্গলবার বেলায়। ছবি: পিটিআই।
আদানি ‘ঘুষকাণ্ডে’ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন যৌথ প্রতিবাদে গরহাজির রইল তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। মঙ্গলবার বেলায় সংসদ চত্বরে আদানি ‘ঘুষকাণ্ডের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বেশ কয়েকটি শরিক দল। যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একদম সামনের সারিতে ছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এসপি এবং তৃতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূলের কোনও সাংসদকে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।
পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভার উপদলনেতা কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, “আমাদের দল সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি সংসদে তুলে ধরবে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূল চায় মসৃণ ভাবে সংসদের কাজ পরিচালিত হোক। তাঁর কথায়, “আমরা সংসদ অচল করতে চাই না। বিভিন্ন বিষয়ে ব্যর্থতার জন্য আমরা এই সরকারের জবাব চাই।”
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তৃণমূল এবং এসপি-র অনুপস্থিতিকে বিরোধী জোটে ‘ফাটল’ বলে দাবি করছে বিজেপি। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, “কংগ্রেস যেখানেই যায়, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে।” বিরোধী জোটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আপনারা অবস্থাটা দেখুন। কখনও তৃণমূল থাকে না, কখনও আবার আম আদমি পার্টি (আপ) থাকে না।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূল সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, সংসদ অচল করে দেওয়ার কংগ্রেসের কৌশলে সায় নেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। ওই সূত্রেই জানা যায়, আদানি-বিরোধী বিক্ষোভে দলের আপত্তি নেই। কিন্তু কংগ্রেস, আরও স্পষ্ট করে বললে রাহুল গান্ধী যে ভাবে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়কে সামনে রেখে বাকি বিরোধীদেরও তাতে শামিল হতে বলছেন, তাতে আপত্তি রয়েছে তৃণমূলের। রাজ্যের শাসকদলের তরফে প্রকাশ্যেই বলা হয়, একটিমাত্র বিষয় নিয়ে সংসদ বানচাল করার ঘোর বিরোধিতা করছে তারা। বরং রাজ্য এবং দেশের অন্য সমস্যাগুলির বিষয়েও তারা সংসদে সরব হতে চায় বলে ইঙ্গিত দেয় তৃণমূল। প্রসঙ্গত, সোমবার সংসদে কক্ষ সমন্বয় নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকেও যায়নি তৃণমূল। এসপি-র তরফে অবশ্য মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে না-থাকার কারণ এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।