উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা মনোজ কুমার সেনায় চাকরি পেতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত।
সেনায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ নতুন নয়। এ বার উত্তরপ্রদেশে সামনে এল সেনায় ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ। সেনাবাহিনীতে চার মাস ‘চাকরি’ করার পরে এক যুবক জানতে পারলেন তাঁকে আদৌ নিয়োগই করা হয়নি। ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মনোজ কুমার নামে ওই যুবক। এই ভুয়ো নিয়োগ-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে রাহুল সিংহ নামে এক প্রাক্তন সেনাকর্মীকে।
গাজিয়াবাদের বাসিন্দা মনোজের অভিযোগ, জুলাই মাসের গোড়ায় রাহুলকে ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁরই মাধ্যমে সেনার নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তিনি। এর পর টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০৮ নম্বর পদাতিক ব্যাটেলিয়নে প্রশিক্ষণরত জওয়ান হিসেবে পাঠানকোটের সেনাছাউনিতে কাজ করেছেন চার মাস। বেতন বাবদ প্রতি মাসে ১২,৫০০ টাকা করে পেয়েছেন। পেয়েছেন, সেনার উর্দি এবং পরিচয়পত্রও।
পাঠানকোটে টেরিটোরিয়াল আর্মির ২৭২ নম্বর ট্রানজিট ক্যাম্পে কাজ করার সময় মনোজ হঠাৎ জানতে পারেন, তিনি আদতে বাহিনীর সদস্যই নন! তাঁকে সেনাছাউনির অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করানো হয়েছে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে সেনা গোয়েন্দা বিভাগের সাহায্যে গ্রেফতার করা হয় রাহুলকে। তাঁকে জেরা করে বিট্টু সিংহ নামের আর এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। তবে ভুয়ো নিয়োগ চক্রের পান্ডা রাজা সিংহ এখনও নিখোঁজ বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশেরই মিরাটের বাসিন্দা রাহুলের বয়স ২৫ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে সেনায় যোগদান করলেও স্বাস্থ্যের কারণে অবসর নিয়ে বাধ্য হয়েছিলেন রাহুল। সম্ভবত এর পরেই তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন সেনায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে। এই ঘটনায় সেনার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নজরদারির অভাব প্রকট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মনোজ জানিয়েছেন, টাকা দিয়ে ‘নিয়োগপত্র’ পেলেও সেনাশিবিরে নিয়ম মেনেই লিখিত এবং শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।