National news

অবসর নিয়েই ফেসবুকে বিয়ের বিজ্ঞাপন ‘লভ গুরু’র!

পটনার বিএন কলেজের হিন্দির শিক্ষক ছিলেন ওই ব্যক্তি। নাম মটুকনাথ চৌধুরি। তবে আর আরও একটি পরিচয় রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:০৭
Share:

লভ গুরু মটুকনাথ চৌধুরি। ছবিটি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।

৬৫ বছর বয়সে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েই ফেরবিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দিলেন বিহারের লভ গুরু! সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে বড় করে ‘পাত্রী চাই’-এর একটি বিজ্ঞাপনও দিয়ে ফেলেছেন তিনি। আর রাত পেরতে না পেরতেই সেই বিজ্ঞাপন নাকি ব্যাপক সাড়াও ফেলে দিয়েছে।পাত্রীরা তো বটেই, পাত্রীর বাবা-মায়েরাও মেয়ের বিয়ের জন্য যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন তাঁর সঙ্গে!

Advertisement

পটনার বিএন কলেজের হিন্দির শিক্ষক ছিলেন ওই ব্যক্তি। নাম মটুকনাথ চৌধুরি। তবে আর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি লভ গুরু হিসাবেই অধিক পরিচিত ছাত্রদের কাছে। প্রেমিক মানুষ এই শিক্ষক আসলে চর্চায় আসেন ২০০৪ সালে। তখন তাঁর বয়স ৫১ বছর। নিজের কলেজেরই এক ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের কথা রটে যায় কলেজ জুড়ে। ওই ছাত্রী তাঁর চেয়ে ৩০ বছরের ছোট ছিলেন। ছাত্রী-ছাত্রীদের কাছে তখন থেকেই তিনি লভ গুরু। ২০০৬ সালে সেই ছাত্রীকে বিয়েও করেন তিনি। তারপর লভ গুরুর বিয়ে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়। আরতখন থেকে সারা দেশের কাছেও তিনি লভ গুরু হয়ে যান।

৩১ অক্টোবর ওই কলেজে তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল। বুধবারশিক্ষকতা থেকে অবসর নিলেন ৬৫ বছরের লভ গুরু। আর তার পরই ফেসবুকে বড় পোস্ট লিখে নতুন করে বিয়ের ইচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। পোস্টটির ক্যাপশন দিয়েছেন ‘চড়তি জওয়ানি মেরি চাল মস্তানি’। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি ৬৫ বছরের এক যুবক।আমি অবসর নেওয়ার পর কী করব তা নিয়ে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন। আসলে আমি নতুন কোনও মহিলার সঙ্গে জীবনটা উপভোগ করতে চাই। আমি আবার বিয়ে করতে চাই।’ পোস্টে বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে অবশ্য বেশ ফাঁপড়ে পড়েছেন হিন্দির শিক্ষক। কারণ, প্রচুর বিয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেছেন তিনি। বিয়ের জন্য কোন পাত্রীকে বেছে নেবেন তা একটু সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান। আর সেই সিদ্ধান্তের ভার ছাত্রী-ছাত্রীদের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: রেলিং ভেঙে গাছে ৬ দিন ঝুলে রইলেন মহিলা! তারপর...

প্রথম পোস্টের কিছু পর আরও একটি পোস্ট করে লভ গুরু জানান, ‘আমি খুবই দ্বিধাগ্রস্ত কারণ অনেক মেয়ে এবং তাঁদের বাবা-মায়েদের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছি। সঠিক পাত্রী বাছাইয়ের ভার আমার ছাত্র-ছাত্রীদের উপরই ছেড়ে দিলাম।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement