মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ বিরোধী সাংসদদের। ছবি: পিটিআই।
সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ শাসকের কাছে কি আরও খানিকটা ম্রিয়মান হয়ে গেল বিরোধী পক্ষ? কারণ মঙ্গলবার লোকসভার ৪৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার পর চলতি অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সাসপেনশনের মুখে পড়লেন মোট ১৪১ জন বিরোধী সাংসদ।
শুক্রবার পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। আপাত ভাবে দেখা যাচ্ছে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি তিন দিন সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় শাসক শিবিরকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে থাকছেন ১০০ জনেরও কম বিরোধী সাংসদ। নিম্নকক্ষ লোকসভায় থাকছেন প্রায় ১০০ জন বিরোধী সাংসদ। এই বিরোধী সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদেরা। এই তালিকায় রয়েছেন ওড়িশার শাসকদল নবীন পট্টনায়কের বিজেডির রাজ্যসভা এবং লোকসভার সদস্যেরাও। খাতায়কলমে বিরোধী শিবিরের অংশ হলেও এই দুই দলের সাংসদদের সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার বিভিন্ন বিতর্ক কিংবা বিল পাশের ক্ষেত্রে শাসক বিজেপির পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। সেই অঙ্ক মাথায় রাখলে সংসদে বিরোধী শিবির আরও ‘সংখ্যালঘু’ হবে।
তবে লোকসভায় বিজেপি এবং এনডিএ জোটভুক্ত দলগুলির সদস্যসংখ্যা ৩০০-র বেশি। শাসক শিবিরের কোনও সাংসদই সাসপেন্ড হননি এই অধিবেশনে।
সংসদে হট্টগোলের জেরে মঙ্গলবার লোকসভায় ৪৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। গত সোমবার সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১৪ জন সাংসদকে। চলতি অধিবেশনের মতো আর কোনও অধিবেশনে কখনও এত জন সংসদকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়নি। অনেকেই মনে করছেন মঙ্গলবার কার্যত বিরোধীশূন্য হয়ে গেল সংসদ। সংসদের ভিতরে অভব্য আচরণ, সংসদের গরিমা নষ্ট এবং স্পিকার (লোকসভার ক্ষেত্রে) এবং চেয়ারম্যান (রাজ্যসভার ক্ষেত্রে)-কে অবমাননার অভিযোগে এই সাংসদদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার লোকসভায় রংবোমা হানার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিবেশনে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। গত সপ্তাহের পর সোম এবং মঙ্গলবারেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে ওয়েলে নেমে স্লোগান তোলেন তাঁরা।