প্রতিবাদী কৃষকরা। ছবি: পিটিআই
সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি। প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেই বললেন প্রতিবাদী কৃষকরা। তাঁদের কথায়, দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষকরা বসে আছেন সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্যই। সরকার যদি কথা বলতে রাজি থাকে, তা হলে কৃষকরাও আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। তবে তাদের দাবির যে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাঁরা এখনও তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড়। প্রধানমন্ত্রী শনিবারই বলেছিলেন, কৃষক নেতারা একটা ফোন করলেই হল। তা হলেই ফের আলোচনা শুরু করা যাবে।
কৃষক আন্দোলনে যাতে আর কোনও গোলমাল না ঘটে, সেই কারণে একাধিক সীমানায় ইতিমধ্যেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। আলোচনার কেন্দ্রে থাকা গাজিপুর সীমানায় পুলিশি নিরাপত্তা বেড়েছে। আন্দোলনস্থলে রবিবার সকাল থেকেই পুলিশের ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দিল্লি পুলিশ মোট ৮৪ জনকে আটক ও গ্রেফতার করেছে। ইতিমধ্যে ৩৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আলাদা করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। এঁদের মধ্যে কয়েক জন সাংবাদিকও রয়েছেন। অভিযোগ, ট্র্যাক্টর মিছিল চলার সময় তাঁরা অসত্য ও ভুয়ো খবর সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন। শশী তারুরের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তাতে বলা হয়েছে এক কৃষকের মৃত্যু নিয়ে শশী বিভ্রান্তিকর পোস্ট করেছিলেন।
তবে পুলিশের করা অভিযোগে বিস্তর গলদ রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। তাঁদের দাবি, আন্দোলনকে খাটো করতে চেষ্টা করছে পুলিশ, ক্ষমতার বেআইনি প্রয়োগের মাধ্যমে আন্দোলনকে ভাঙতে চাইছে তারা। প্রতিবাদী কৃষকরা জানিয়েছেন, ‘‘এখন ছবিটা খুব স্পষ্ট। পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর বিভিন্ন হামলাকে উৎসাহ দিয়েছে।’’ তাঁদের আরও দাবি, পুলিশের মদতেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই সব হামলা চালিয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া আন্দোলনকারীদেরও সম্পূর্ণ মুক্তির দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।