দিল্লির গাঁধী মূর্তির নীচে কংগ্রেসের ধর্নায় রাহুল গাঁধী এবং সনিয়া গাঁধী। ছবি: এএনআইয়ের টুইটার থেকে।
মরণ-বাঁচন লড়াই চলছে কর্নাটকে। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ধাক্কায় কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যেই পাশের রাজ্য থেকে ফের ধাক্কা কংগ্রেস শিবিরে। গোয়ার ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে।
গোয়াতে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। বিধানসভার ৪০ আসনের মধ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছেন ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক। আর কংগ্রেসের ছিল ১৫ জন বিধায়ক।
বুধবার সেই ১৫ জনের ১০ জনই বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁরা হলেন, বাবু কাভালেকর, বাবুশ মনসেরাট্টে এবং তাঁর স্ত্রী জেনিফার, টনি ফারনান্ডেজ, ফ্রান্সিস সিলভেইরা, ফিলিপি নেরি রড্রিক, ক্লাফাসিও, উইলফ্রেড দে সা, নীলকান্ত হালানকার এবং ইসিডোর ফার্নান্ডেজ। যার ফলে ৪০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ৩৪ হাজার পদে নিয়োগ একই সঙ্গে, ঘোষণা মমতার
কেন আচমকা এই দলবদল?
দলত্যাগী বিধায়ক বাবু কাভালেকর বললেন, ‘‘কোনও উন্নয়ন না হলে মানুষ পরের বার কেন সঙ্গে থাকবেন? কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে না। সরকার গড়ার অনেক সুযোগ ছিল, কিন্তু বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে ঐক্যের অভাব কখনই তা হতে দেবে না। তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত।’’
আরও পড়ুন: কর্নাটক নিয়ে নাটক, মুম্বইয়ে আটক শিবকুমার
গত মাসে তেলঙ্গানাতেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল কংগ্রেসের। যেখানে ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলে যোগ দেয়। তার উপর কর্নাটক নিয়ে টানাপড়েন তো চলছেই।
কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার এই মুহূর্তে খাদের ধারে দাঁড়িয়ে। কংগ্রেসের ১৩ জন, জেডিএসের ৩ জন ও ২ জন নির্দল বিধায়ক কুমারস্বামীকে ছেড়ে দিয়েছেন। পদত্যাগপত্রও তাঁরা স্পিকারের কাছে জমা দিয়েছেন। যদিও তা আইন মেনে হয়নি বলে তাঁদের পদত্যাগপত্র এখনও গ্রহণ করেননি কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার। কর্নাটকে গাঁধী-মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছে কংগ্রেস। কর্নাটক এবং গোয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসের এই প্রতিবাদ। ধর্নায় সমর্থন জানিয়েছেন বিরোধীরাও।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।