NIA

বাদুড়িয়ার তানিয়ার থেকে মিলল খোঁজ, জঙ্গি ধৃত কাশ্মীরে

উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার মলয়পুর গ্রামের বাসিন্দা কলেজছাত্রী তানিয়াকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৪৪
Share:

সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যেই জেহাদি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করত তানিয়া। ফাইল চিত্র।

ফেসবুকে আলাপ থেকে বন্ধুত্ব। তার পরেই সুদর্শন ওই কাশ্মীরি যুবকের প্রেমে পড়ে যায় বাদুড়িয়ার তরুণী তানিয়া পরভিন। আলতাফ আহমেদ রাঠের নামের সেই যুবকই তানিয়াকে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত করে দিয়েছিল। তানিয়াকে দিয়ে অন্যান্য পুরুষকে আকৃষ্ট করে দলে টানার চেষ্টাও করত সে। মেয়েটিকে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন তৈরি করতেও চেয়েছিল আলতাফ।

Advertisement

তানিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত বছর মার্চ মাসে। বুধবার কাশ্মীর থেকে আলতাফকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, শ্রীনগরের এনআইএ আদালতের বিচারক মনজিৎ সিংহ মানহাসের কাছ থেকে ট্রানজ়িট রিমান্ড পেয়েছে এনআইএ। বৃহস্পতিবার রাতেই আলতাফকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। আজ, শুক্রবার তাকে কলকাতার এনআইএ আদালতে হাজির করানো হবে। এনআইএ জানিয়েছে, আলতাফ ওরফে গুলাম নবি নামে এই জঙ্গি কাশ্মীরে লস্করের অন্যতম চাঁই। বাড়ি বান্দিপোরার আজস গ্রামে। সে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক। কলকাতায় এনে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে বিশদে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে এনআইএ।

উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার মলয়পুর গ্রামের বাসিন্দা কলেজছাত্রী তানিয়াকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। পরে মামলার দায়িত্ব পায় এনআইএ। গত সেপ্টেম্বরে তানিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১এ, ১২৪এ, ১২০বি (রাষ্ট্রদ্রোহ ও ষড়যন্ত্র)-সহ ইউএপিএ-র একাধিক ধারায় চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।

Advertisement

সূত্রের দাবি, তানিয়াকে গ্রেফতারের পরে তার মোবাইল ছাড়াও বাড়ি থেকে বেশ কিছু চিঠি পান গোয়েন্দারা। তা থেকেই আলতাফের প্রসঙ্গ জানতে পারেন তাঁরা। পরে জেরাতেও তানিয়া গোয়েন্দাদের জানিয়েছিল, ২০১৮ সালে ফেসবুকে আলাপ থেকেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দু’জনের। আলতাফ তাকে আরবি, কাশ্মীরি ও উর্দু শেখানোর পাশাপাশি ধীরে ধীরে ‘মগজধোলাই’ করতে থাকে বলে অভিযোগ। তবে আলতাফের সঙ্গে তার কোনও দিন দেখা হয়নি। আলতাফের নির্দেশেই সে ফেসবুকে বিভিন্ন সেনা ও পুলিশ কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। পাশাপাশি, হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে তাতে বিভিন্ন তরুণ-তরুণীকেও যুক্ত করত সে। লস্কর-ই-তইবা, আল-কায়়দা ইন সাবকন্টিনেন্ট (আকিস), জামাতুল মুজাহিদিন, আনসার উল ইসলাম নামে উপমহাদেশে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলিতে আলতাফ তানিয়াকে যুক্ত করেছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি। ওই কাশ্মীরি যুবক তানিয়ার সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়েরও যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement