রোহিঙ্গা শিবির
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের থাকার জন্য ফ্ল্যাট দেওয়া নিয়ে যে খবর রটেছে, তা সঠিক নয়। এ রকম কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি বলে স্পষ্ট জানাল হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী বুধবার দাবি করেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে (ইডব্লুএস) তাঁদের থাকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন দাবির পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি টুইটে লেখা হয়, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী নিয়ে সংবাদমাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানাতে চায়, দিল্লির বক্করওয়ালায় ইডব্লুএস ফ্ল্যাটে রোহিঙ্গাদের থাকতে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।’ পাশাপাশিই, অনুপ্রবেশকারীদের তাঁদের নিজেদের দেশে পাঠানো পর্যন্ত আইন মেনে তাঁদের বন্দি শিবির (ডিটেনশন সেন্টার)-এ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।
শুধু থাকার জায়গা দেওয়াই নয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাধারণ সুযোগসুবিধাও দেওয়া হবে। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা দিল্লি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরীর এই টুইটের পর দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে পর পর কয়েকটি টুইট করা হয়। অমিত শাহের মন্ত্রকের টুইটে লেখা হয়, ‘দিল্লির সরকারের তরফে রোহিঙ্গাদের নতুন কোনও জায়গায় স্থানান্তরিত করার সুপারিশ করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জিএনসিটিডি-কে নির্দেশ দিয়েছে, রোহিঙ্গারা এখন যেখানে আছেন, তাঁরা যাতে সেখানেই থাকেন। কারণ, বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোহিঙ্গাদের তাঁদের দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আর একটি টুইটে লেখা হয়, ‘আইন মেনে অনুপ্রবেশকারীদের তাঁদের দেশে পাঠানোর আগে ডিটেনশন সেন্টারেই রাখা হবে। দিল্লির সরকারের তরফে এ রকম কোনও ডিটেনশন সেন্টারের কথা জানানো হয়নি। শীঘ্রই এই নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে দিল্লির সরকারকে।’