শ্যামলালের মাথায় ডেভিলস হর্ন। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
একশৃঙ্গ গন্ডার থেকে ডালপালার মতো ছড়িয়ে থাকা হরিণের শিং। আত্মরক্ষা হোক বা সৌন্দর্য বাড়ানো, বিভিন্ন প্রাণীর দেহে শিংয়ের একটি ভূমিকা আছে। কিন্তু সেই শিং যদি হয়ে ওঠে যন্ত্রণার কারণ? যেমন সম্প্রতি হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার রাহলি গ্রামের এক বৃদ্ধের।
বছর চুয়াত্তরের ওই ব্যক্তির নাম শ্যামলাল যাদব। বছরখানেক আগে তাঁর মাথার সামনের দিকে গজায় একটি শিং। সেই শিং নিয়ে বেজায় ফাঁপরে পরেছিলেন শ্যামলাল। অবশেষে অস্ত্রোপচার করে সেই শিং বাদ দিয়ে তাঁকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিলেন সাগরের ভাগ্যোদয় তীর্থ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বেশ কয়েক বছর আগে ওই বৃদ্ধের মাথায় আঘাত লেগেছিল। তার পরই তাঁর মাথার সামনের দিকে চামড়া জড়ো হয়ে ছোট্ট শিংয়ের মতো উঁচু হয়ে যায়। প্রথমে বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নিলেও দিনে দিনে সেই শিং বড় হতে থাকে। শুরু হয় যন্ত্রণাও। তখন বাধ্য হয়ে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন শ্যামলাল। তার পর সম্প্রতি সাগর জেলার ভাগ্যোদয় তীর্থ হাসপাতালে তাঁর শিংটি কেটে বাদ দেন চিকিৎসকরা।
সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্যামলাল সিবেসিয়াস হর্ন কন্ডিশনে ভুগছিলেন। এই সিবেসিয়াস হর্ন ডেভিলস হর্ন নামেও পরিচিত। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক বিশাল গাজভিয়ে বলেছেন, ‘‘ওই ব্যক্তির শরীর থেকে শিংয়ের মতো অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এক্স রে করে দেখা গিয়েছে সেই শিংয়ের মূল খুব একটা গভীর নয়।’’ এই শিং গজানোর ঘটনা বেশ বিরল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রথমবারেই সফল ‘অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং’ করল লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তেজস
আরও পড়ুন: ২১ কেজি ওজনের গণেশ লাড্ডু! দাম কত জানেন?