গ্রাফিক:- শৌভিক দেবনাথ।
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। বাংলার এই প্রবাদ শুনতে যতটা সহজ, মানা ততটা নয়। কিন্তু মানলে যে ফল সত্যিই পাওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন বিহারের মেয়ে সম্প্রীতি যাদব। বিভিন্ন চাকরির জন্য গোটা পঞ্চাশেক ইন্টারভিউ দিয়েছেন। কিন্তু বারবার বাতিল হন। তা বলে হাল ছাড়েননি। লেগে থেকেছেন। আর তাতেই স্বপ্নের চাকরিটা পেয়ে গিয়েছেন। গুগলের কর্মী সম্প্রীতির বার্ষিক বেতন ১.১০ কোটি টাকা।
প্রতি দিন কত ছেলেমেয়ে কত রকমের চাকরির জন্য চেষ্টা করেন। কেউ সাফল্য পান, কেউ পান না। আর যাঁরা অসফল হয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েন, তাঁদের জন্য নজির হতে পারেন সম্প্রীতি। ২৪ বছর বয়সের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সম্প্রীতির সফর মোটেও সহজ ছিল না। চাকরি পাওয়ার পরে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘অনেক সময়েই ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে নার্ভাস লেগেছে। তবে হাল ছাড়িনি। পরিবারের লোকেরা এবং বন্ধুবান্ধবরা পাশে থেকেছেন। আর তাতেই নার্ভাস না হয়ে প্রতিটি ইন্টারভিউ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিতে পেরেছি।’’ বারবার ইন্টারভিউ দিয়ে বাতিল হওয়ার মধ্যেও অনেক কিছু শেখার রয়েছে বলে মনে করেন সম্প্রীতি। তাঁর দাবি, প্রতিটি ব্যর্থতা তাঁকে আরও ভাল করার প্রেরণা দিয়েছে। জানিয়েছেন, পরের বার কী করে সফল হওয়া যায় সেই শিক্ষাই প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে নিয়েছেন তিনি।
ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে প্রতিবার পরিশ্রম বাড়িয়ে দিতেন ব্যাঙ্ক চাকুরে বাবা ও সরকারি কর্মী মায়ের সন্তান সম্প্রীতি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রস্তুতি নিতেন পরের ইন্টারভিউয়ের আগে। এমন করতে করতেই ২০২১ সালে দিল্লি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সম্প্রীতি গুগলে চাকরি পেয়েছেন সম্প্রতি। আপাতত কর্মস্থল লন্ডন। বেতনটাও স্বপ্নের মতো। কাজে যোগ দেওয়ার আগে বলেন, ‘‘প্রত্যেক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাছেই গুগলে চাকরি পাওয়াটা স্বপ্নের মতো। কারণ, এটাই বিশ্বের সেরা টেক-ফার্ম। সেই চাকরি এবং লন্ডনের অফিসে যোগ দেওয়া আমার কাছে খুবই আনন্দের। এটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।’’