এ বার বাংলো থেকে উচ্ছেদ রাহুলকে?
লোকসভা সাংসদ পদ খোয়ানোর কারণে নয়াদিল্লির ১২ তুঘলক লেনের বাংলোও ছাড়তে হতে পারে রাহুল গান্ধীকে। সংসদীয় বিধি অনুযায়ী পদ হারানোর পরে কোনও সাংসদ বাংলো ছাড়ার জন্য সর্বোচ্চ ১ মাস সময় পেতে পারেন। কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সেই সময়সীমা পেরোনোর পরেও বাংলো না ছাড়লে ওয়েনাড়ের সদ্যপ্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে উচ্ছেদ করা হতে পারে।
রাহুলকে উচ্ছেদের বিষয়ে অবশ্য শুক্রবার কোনও প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায়নি সংসদের হাউসিং কমিটি। লুটিয়েন্স দিল্লির বাংলোগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট, পার্লামেন্ট অ্যানেক্স’-এর তরফেও কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের তরফে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের যে নোটিস জারি করা হয়েছে, ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ তার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে ‘ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট, পার্লামেন্ট অ্যানেক্স’-এর লিয়াজোঁ অফিসারের কাছে।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ১ মাস পরে বিধি মেনে ১২ তুঘলক লেনের বাংলো থেকেই রাহুলকে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যই এই ‘বার্তা’। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী থেকে জেতার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে ওই ১২ তুঘলক লেনের ওই বাংলোয় থেকে এসেছেন রাহুল। তার আগে মা সনিয়ার সঙ্গে ১০ জনপথের বাংলোয় থাকতেন তিনি। রায়বরেলীর সাংসদ সনিয়া এখনও সেখানেই রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবার গুজরাতের সুরাত জেলা আদালত ২ বছরের জেলের সাজা দেয় রাহুলকে। যদিও বিচারক এইচএইচ বর্মা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে ১০ হাজার টাকার জামিনে মুক্তি দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত করার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।