(বাঁ দিক থেকে) অজিত এবং সুনেত্রা পওয়ার। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে হারের এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার সাংসদ পদের দৌড়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা। এ বার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় প্রবেশাধিকার পাওয়ার লড়াইয়ে নামতে চলেছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের একটি রাজ্যসভা আসনের উপনির্বাচনে এনসিপি (অজিত)-র প্রার্থী হিসাবে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পেশ করেছেন তিনি।
লোকসভা ভোটে এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলের কাছে বারামতী কেন্দ্রে পরাস্ত হয়েছেন সুনেত্রা। সার্বিক ভাবেও মহারাষ্ট্রে এনসিপি (শরদ)-র কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে অজিতের দল। ১০টি আসনে লড়ে শরদের দল জিতেছে আটটিতে। অন্য দিকে, অজিতের এনসিপি চারটি আসনে লড়ে মাত্র একটিতে। রবিবার নরেন্দ্র মোদীর নয়া মন্ত্রিসভায় অজিতের দলের কাউকে শপথ নিতে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে জল্পনা ছড়িয়েছে, আবার কাকা শরদের শিবিরে ফিরতে পারেন অজিত।
২০২৩ সালের ২ জুলাই অজিতের বিদ্রোহের পরেই এনসিপির অন্দরের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিন্ডেসেনার জোট সরকারে অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পরে পরিষদীয় দলের অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হতে থাকে। সাংসদদের একাংশও তাঁর দিকে যান। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দলের নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ যায় অজিতের হাতেই।
কিন্তু লোকসভা ভোটে ‘সাহেব’ শরদের কাছে পরাস্ত হওয়ার পরে ‘দাদা’ অজিতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রাজ্যসভার একটি মাত্র আসনে উপনির্বাচনে অবশ্য অজিত-জায়া সুনেত্রার জয় নিশ্চিত। কারণ, ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি(অজিত)-র ‘মহাদ্যুতি’র মোট বিধায়ক সংখ্যা ১৮০। এ ছাড়া আরও কয়েকটি ছোট দল ও নির্দল মিলিয়ে মোট ২০০ বিধায়ক রয়েছেন শাসক শিবিরে। আগামী ২৬ জুন রাজ্যসভা উপনির্বাচনে সুনেত্রা জেতার পরে মোদী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা দানা বেঁধেছে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে।