রাকেশ আস্থানা। —ফাইল চিত্র।
গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস রাকেশ আস্থানাকে ‘কলঙ্কমুক্ত’ করার কাজে সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডি-ও যোগ দিল!
নরেন্দ্র মোদীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত আস্থানা সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা। ২০১৮-র এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সিবিআইয়ের অন্দরের দ্বৈরথ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। মঙ্গলবার সিবিআই আস্থানাকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছে। তারা জানায়, হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ সানা বাবুর থেকে ঘুষ নিয়েছেন—সতীশের এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। কিন্তু আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ মেলেনি।
আজ ইডি আরেক ধাপ এগিয়ে সতীশ সানা বাবুর বিরুদ্ধেই চার্জশিট দায়ের করে। সতীশকে গত বছরই গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইডি-র অভিযোগ, মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশি প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর এ পি সিংহকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ, তাতে ‘মিডল ম্যান’-এর কাজ করেছিলেন সতীশ। সিবিআই তথা ইডি সূত্র বলছে, সতীশের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হল। যাতে এটা বোঝানো যায় যে, আস্থানার বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগের সারবত্তা নেই। সিবিআই-ইডি-র অন্দরমহলে প্রশ্ন, এর পর কি অলোক বর্মাকেও প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা হবে?
আরও পড়ুন: এসপিজি নিরাপত্তায় ৪ জনের ছিল ৫৪০ কোটি, একা মোদীর জন্যই বেড়ে ৫৯২ কোটি!
আজ বিশেষ আদালতের বিচারক সঞ্জীব আগরওয়াল আস্থানা সংক্রান্ত সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, এই মামলায় রাঘববোয়ালরা কেন এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে? সিবিআই এই মামলার তাদের ডিএসপি দেবেন্দ্র কুমারকে গ্রেফতার করে। কিন্তু দুবাইয়ের ব্যবসায়ী মনোজ প্রসাদ বা তাঁর ভাই সোমেশ প্রসাদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ সতীশের দাবি ছিল, তিনি মনোজের মাধ্যমেই সিবিআই কর্তাদের ৩ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। যাতে মইন কুরেশির বিরুদ্ধে মামলায় তাঁর নাম জড়ানো না হয়।