(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নীতীশ কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
গত ডিসেম্বরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল জানান দিয়েছিল যে, দেশের আরও তিনটি রাজ্য বিজেপির শাসনাধীনে এল। লোকসভা ভোটের আগে দেশে আর কোথাও বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা ছিল না। তবে জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের ‘রাজনৈতিক ডিগবাজির’ কারণে বিহারও আর বিরোধীশাসিত রইল না। নীতীশের দলকে সঙ্গী করে সেখানেও সরকারে এল বিজেপি। দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে মাত্র ১১টিতে রইল বিরোধী দল শাসিত সরকার।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস-কে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য তেলঙ্গানা দখল করে কংগ্রেস। তেলঙ্গানাকে ধরে গোটা দেশে কংগ্রেসশাসিত রাজ্যের সংখ্যা দাঁড়ায় তিনে। বাকি দু’টি হল হিমাচল প্রদেশ এবং কর্নাটক। একক ভাবে ১২টি রাজ্যে ক্ষমতায় রইল বিজেপি। ডিসেম্বরের পর এই সংখ্যায় রদবদল না হলেও শরিকদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের নিরিখে মোট পাঁচটি রাজ্যে ক্ষমতায় রইল বিজেপি। মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং সিকিমের সঙ্গে জুড়ল বিহার। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র হাতে এল মোট ১৭টি রাজ্য। বর্তমানে একক শক্তিতে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, গুজরাত, গোয়া, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ অন্যতম শরিক অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আপ পঞ্জাব এবং আধা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লিতে ক্ষমতায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস এবং আরজেডির সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে রয়েছে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম। তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস এবং সিপিএমের সঙ্গে সরকারে রয়েছে এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকে। মিজ়োরামে ক্ষমতায় রয়েছে লালডুহোমার দল জ়েডপিএম। ওড়িশায় দীর্ঘ দিন শাসনক্ষমতায় রয়েছে নবীন পট্টনায়কের বিজেডি। অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কেরলে ক্ষমতায় রয়েছে বাম জোট। এই দলগুলির মধ্যে বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং জ়েডপিএম খাতায়কলমে বিজেপি বিরোধী দল হলেও বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় তারা শামিল হয়নি। আধা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে পুদুচেরিতে অন্য দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকারে রয়েছে বিজেপি।