রামমন্দিরের কাজ এখনও অসমাপ্ত। ছবি: প্রেমাংশু চৌধুরী।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে অযোধ্যায় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি-র রথ। কিন্তু হরিয়ানায় অপ্রত্যাশিত জয় পাওয়ার পর আগামী বিধানসভা নির্বাচনগুলির জন্য নতুন উদ্যমে আসরে নেমেছে বিজেপি।
সেই আবহে বহু ব্যবহৃত রামমন্দিরের অস্ত্রকে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘুম পাড়িয়ে রাখতে চান না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল আজ, ধনত্রয়োদশীর দিনে। দেশবাসীকে শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই বছরের দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। কারণ, ৫০০ বছর পর এই প্রথম ভগবান রাম অযোধ্যায় নিজের মন্দিরে দীপাবলি পালন করবেন। আমরাও তাঁর বিশালাকার মন্দিরে এই প্রথম শ্রীরামের সঙ্গে উৎসব পালন করব। এই মহান ও বিশাল দীপাবলির সাক্ষী হতে পারার মতো মুষ্টিমেয় সৌভাগ্যবান আমরা।”
এ দিনই প্রধানমন্ত্রী ভিডিয়ো কনফারেন্সে রোজগার মেলায় দেশের যুবসমাজকে বার্তা এবং সরকারি নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “উৎসবের আবহাওয়ায় আজ পবিত্র দিন। এই মেলায় দেশের ৫১ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”
দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতি বছর রোজগার মেলার আয়োজন করেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের মধ্যে মোট ৪০টি জায়গায় এই চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, সরকারের রাজস্ব বিভাগ, উচ্চশিক্ষা বিভাগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকে আজকের রোজগার মেলার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করা হবে। নিয়োগের পরে কর্মযোগী পোর্টালের অধীনে ‘কর্মযোগী প্রাধ্যম’ নামে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ মডিউলে কর্মীদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর থেকে দেশে শুরু হয়েছিল এই রোজগার মেলা।
গোটা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস। এর আগেই কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, “এর আগে সরকারের কাজকে নিজের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব হিসেবে কেউ দেখাননি। এই প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনকে ধ্বংস করেছেন। রোজগারের মেলা তার নিকৃষ্ট উদাহরণ। এমন ভাব করছেন যেন তিনি নিজে এই চাকরি তৈরি করেছেন। যাঁরা চাকরি পাচ্ছেন তাঁদের যেন নিজে বেতন দিচ্ছেন।”