অমিত শাহ এবং নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
একেবারেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক। কথা হল পাক্কা ৪০ মিনিট। আর তা নিয়েই সরগরম বিহার রাজনীতি। গত রাতে পটনায়, মুখ্যমন্ত্রী নিবাসে অমিত শাহের সম্মানে দেওয়া নীতীশ কুমারের নৈশভোজে দু’জনের একান্ত কথাবার্তা হলেও, দুই দলের নেতারাই অন্ধকারে। দলের কোনও নেতাকেই সেখানে রাখা হয়নি। নৈশভোজ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দু’জনে বাংলোর একটি ঘরে গিয়ে বসেন। সেখানেই খাবার পাঠানো হয়। বাকিরা ছিলেন নৈশভোজের হলেই।
জেডিইউয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমাদের বসকে তো জানেন। কী ভাবে কখন মহাজোট সরকারের থেকে এনডিএর মন্ত্রী হয়ে গেলাম, তা আমরা নিজেরাই ভাল করে বুঝে উঠতে পারিনি। তাই কী কথা হয়েছে তা অনুমান করা সহজ নয়।’’ জেডিইউ রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহের বক্তব্য, ‘‘অমিত শাহ এবং নীতীশ কুমার যখন মুখোমুখি বসেছেন, তখন রাজনীতির কথা আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এর বেশি কিছু বলব না।’’
তবে রাজনৈতিক সূত্রের খবর, আসন ভাগাভাগি ছাড়াও ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিহারে নীতীশের নেতৃত্বেই এনডিএ নির্বাচন লড়বে, তা-ও পাকা। তবে এনডিএ শরিক রামবিলাস পাশোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার লোক সমতা পার্টির সঙ্গে আলোচনা না করে আসন সংখ্যা নিয়ে বিজেপি চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না। বিহার এবং দেশের অন্য রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেতার আলোচনা হয়েছে। বিহারের মুসলিম প্রধান এলাকায় জেডিইউকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছে বিজেপি। গত রাতে মুখ্যমন্ত্রী নিবাসে প্রায় ঘণ্টা দুই ছিলেন বিজেপি সভাপতি। কথা বলতে বলতে অমিত শাহকে গাড়ি পর্যন্ত ছাড়তে আসেন নীতীশ। বিজেপির এক নেতা জানান, দু’জনকেই হাসতে দেখা গিয়েছে। এমনিতে অমিত শাহকে দলের নেতাদের সঙ্গে খুব একটা হাসিমজা করতে দেখা যায় না।