Arvind Kejriwal

‘ভুল করেছি’! সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে আপাতত মানহানির মামলা থেকে রক্ষা পেলেন কেজরীওয়াল

ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন ইউটিউবার ধ্রুব রাঠী। সেটিই নিজের এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার)-এ ফের পোস্ট করেন কেজরীওয়াল। ঘটনাটি অবশ্য ২০১৮ সালের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩১
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।

ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমা চেয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মানহানির মামলা থেকে আপাতত রক্ষা পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আপ প্রধানের বিরুদ্ধে একটি ‘মানহানিকর’ ভিডিয়ো রিট্যুইট করার অভিযোগ উঠেছিল। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন ইউটিউবার ধ্রুব রাঠী। সেটিই নিজের এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার)-এ ফের পোস্ট করেন কেজরীওয়াল। ঘটনাটি অবশ্য ২০১৮ সালের। তখনও অবশ্য টুইটারের নাম এক্স হয়নি।

Advertisement

ধ্রুব রাঠীর পোস্ট করা ভিডিয়োয় ‘আই সাপোর্ট নরেন্দ্র মোদী’ নামের নামের একটি টুইটার হ্যান্ডল ‘বিজেপি আইটি সেল পার্ট-২’-এর মতো কাজ করছে বলে দাবি করা হয়। আরও দাবি করা হয় যে, ওই হ্যান্ডল থেকে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। সেই ভিডিয়োই রিট্যুইট করেন কেজরীওয়াল। আদালতে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন বিকাশ সাংকৃত্যায়ন নাম এক ব্যক্তি। নিম্ন আদালত আপ প্রধানের বিরুদ্ধে সমন জারি করার নির্দেশ দেয়। কেজরীওয়াল এই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সমন খারিজ করতে রাজি হয়নি উচ্চ আদালত। তার পরই সুপ্রিম কোর্টে যান কেজরীওয়াল।

সোমবার কেজরীওয়ালের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে তিনি আদালতে বলেন, “আমার স্বীকার করতে কোনও অসুবিধা নেই যে, রিট্যুইট করে ভুল করেছিলাম।” তার পরই অভিযোগকারীর কাছে শীর্ষ আদালত জানতে চায়, তিনি এই মামলাটি বন্ধ করতে চান কি না। অভিযোগকারী সম্মতি দেন। তার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানায়, নিম্ন আদালত ১১ মার্চ অবধি কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

হাই কোর্টের শুনানিতে কেজরীওয়াল জানিয়েছিলেন, তিনি কাউকে আঘাত করার জন্য ওই পোস্ট করেননি। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ছাড়া মানহানিকর কিছু সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা আইনের চোখে অপরাধ বলেই বিবেচিত হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement