৯টি জেলা ও কাছাড়ের একটি মহকুমা বাদে বাকি ৬০ শতাংশ এলাকাকে অশান্ত এলাকার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিধানসভায় বলেন, “আজ থেকে ওই সব এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সেখানকার জনতাকে নিতে হবে।”
হিমন্ত বলেন, “আলফা স্বাধীন-সহ এখনও যারা সশস্ত্র সংগ্রামের পথে আছে, তাদের সকলকে মূল স্রোতে ফেরার জন্য বিনম্র অনুরোধ করছি। ফাইল চিত্র।
আজ, শুক্রবার থেকে আফস্পামুক্ত হল অসমের ২৪টি জেলা। ৯টি জেলা ও কাছাড়ের একটি মহকুমা বাদে বাকি ৬০ শতাংশ এলাকাকে অশান্ত এলাকার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিধানসভায় বলেন, “আজ থেকে ওই সব এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সেখানকার জনতাকে নিতে হবে। বিধানসভা থেকে সকলকে শান্তির জন্য দায়িত্ব নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। এত দিন অনেক সেনা, আধা সেনা, পুলিশ ওই সব এলাকায় নিরাপত্তা প্রদানের জন্য কাজ করেছেন। অনেকে প্রাণ দিয়েছেন, জখম হয়েছেন। অনেক সাধারণ মানুষও নাশকতার শিকার হয়েছেন। আজ সকলকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।” বিধানসভায় দাবি ওঠে, বাকি ৯ জেলা থেকেও যেন এই আইন প্রত্যাহার করা হয়। হিমন্ত বলেন, “আলফা স্বাধীন-সহ এখনও যারা সশস্ত্র সংগ্রামের পথে আছে, তাদের সকলকে মূল স্রোতে ফেরার জন্য বিনম্র অনুরোধ করছি। অসমের নতুন প্রজন্মকে যাতে আমাদের প্রজন্ম এক বিকশিক অসম দিয়ে যেতে পারে, তাই সকলকে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এ দিকে তিন দফার বড়ো চুক্তি ও আফস্পা প্রত্যাহারের পরেও বড়োভূমি পুরোপুরি জঙ্গিশূন্য হচ্ছে না। চিরাং জেলার ভুটান সীমান্তে মালিভিটা এলাকায় ২৯ মার্চ বন্দুকধারীরা গুলি চালিয়ে দুই বাড়ি থেকে মোট ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ডাকাতি করেছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ ডাকাতদলের সদস্য, গোঁসাইগাঁওয়ের সঞ্জুলা ওয়ারিকে গ্রেফতার করে। জেরায় জানা গিয়েছে, প্রাক্তন এনএলএফবি জঙ্গি সঞ্জুলা ১৪-১৫ জন সদস্যকে নিয়ে নতুন করে জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেছে। সংগঠনের সদস্যদের নামও প্রকাশ করে সে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে নিয়ে গোপন আস্তানায় যায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশকে অস্ত্র, লুঠ হওয়া টাকা ও গয়না দেখানোর পরে সে এক পুলিশকর্মীর পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। গুলিও চালায়। কিন্তু গুলি এক পুলিশ অফিসারের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে লাগে। পুলিশের পাল্টা গুলিতে সঞ্জয় মারা যায়।