আফগানিস্তানের সাংসদ রঙ্গিনা কারগার। -ফাইল ছবি।
বৈধ কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গত শুক্রবার ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন আফগানিস্তানের মহিলা সাংসদ রঙ্গিনা কারগার। তাঁর আরও অভিযোগ, ইস্তানবুল থেকে যে বিমানে চেপে তিনি দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছিলেন, ঘণ্টাদুয়েক বসিয়ে রাখার পর সেই বিমানে চাপিয়েই তাঁকে ফেরত পাঠানো হয় ইস্তানবুলে।
রঙ্গিনা আফগানিস্তান পার্লামেন্টের টানা ১১ বছরের সাংসদ। তাঁর নির্বাচন কেন্দ্র আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশ।
রঙ্গিনা পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমার কাছে ছিল বৈধ কূটনৈতিক পাসপোর্ট। যা থাকলে আলাদা ভাবে ভিসা নিতে হয় না। জরুরি ভিত্তিতে যাওয়া-আসার জন্যই কূটনৈতিক পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট নিয়ে এর আগেও বারকয়েক ভারতে এসেছি জরুরি ভিত্তিতে। কিন্তু গত শুক্রবার ইস্তানবুল থেকে দুবাইয়ের বিমানে দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর আমাকে সেখানে ঘণ্টাদুয়েক বসিয়ে রাখা হয়। তার পর যে বিমানে এসেছিলাম, সেই বিমানে চাপিয়েই আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইস্তানবুলে। গত শুক্রবার সকালে দক্ষিণ দিল্লির এক চিকিৎসকের সঙ্গে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা ছিল। কিন্তু ডাক্তার না দেখিয়েই আমাকে ফিরে যেতে হয় ইস্তানবুল।”
রঙ্গিনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “এমন কোনও ঘটনার কথা আমাদের জানা নেই।”
তবে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সর্বদল বৈঠকের পর রাজ্যসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেছেন, “আফগান মহিলা সাংসদকে ভারতে ঢুকতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি আমরা আজ সর্বদল বৈঠকে তুলেছি। ওরা (বিদেশমন্ত্রক) বলেছে, এটা বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। এমনটা আর কখনও হবে না। কেন এমন ঘটনা ঘটল তা ওরা খতিয়ে দেখছে।”
রঙ্গিনার অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে অপরাধীর মতো ব্যবহার করেছিলেন সে দিন দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা অভিবাসন দফতরের অফিসাররা। তাঁকে সেখানে দু’ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তাঁর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয় ফের তিনি ইস্তানবুলে ফিরে যাওয়ার পর।
রঙ্গিনার কথায়, “আমি খুবই আঘাত পেয়েছি এই ঘটনায়। অপমানিত বোধ করেছি। কাবুলের পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আমি আশা করব আফগান মহিলাদের সাহায্য করতে হাত বাড়িয়ে দেবে ভারত সরকার।”