তালিবান রাষ্ট্রদূত ইক্রমউদ্দিন কামিল। ছবি: সংগৃহীত।
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের তিন বছরেরও বেশি সময় পরে ভারতে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করল তালিবান। কাবুলের শাসকগোষ্ঠী জানিয়েছে, ভারতে বসবাসকারী আফগান পড়ুয়া ইক্রমউদ্দিন কামিলকে মুম্বইয়ের উপদূতাবাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কামিল দিল্লির সাউথ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র।
২০২১ সালের ১৫ অগস্ট গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও এখনও রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গেই তাদের স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। নরেন্দ্র মোদী সরকার তালিবান প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দের সরকারকে স্বীকৃতিও দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ের উপদূতাবাসে তালিবানের কূটনীতিক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসঙ্গত, তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার প্রায় ১০ মাস বাদে কাবুলে পা রেখেছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। ২০২২ সালের জুন মাসে বিদেশ মন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিষয়ক যুগ্মসচিব জে পি সিংহের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল কাবুল পৌঁছে দেখা করেছিলেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিল-সহ কয়েক জন প্রতিনিধির সঙ্গে।
এর পর গত সপ্তাহে বিদেশ মন্ত্রকের আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ইরান বিষয়ক যুগ্মসচিব জেপি সিংহের নেতৃত্বে একটি উচ্চপদস্থ সরকারি প্রতিনিধিদল কাবুলে গিয়ে তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী মহম্মদ ইয়াকুবের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। মুম্বইয়ের উপদূতাবাসে তালিবানের কূটনীতিক নিয়োগ সেই বৈঠকের ফলশ্রুতি বলেই সাউথ ব্লকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের মতে, পরবর্তী পদক্ষেপে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে পারে নয়াদিল্লি।
প্রসঙ্গত, তালিবান ক্ষমতা দখলের পরে পূর্ববর্তী আশরফ গনি সরকার নিযুক্ত কূটনীতিকদের অনেকেই ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। দিল্লির দূতাবাসও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর পর কাবুল, কন্দহর এবং অন্যান্য আফগান শহর থেকে কূটনীতিকদের ফিরিয়ে নিয়েছিল নয়াদিল্লি। যদিও পূর্বতন জমানার এক জন আফগান কূটনীতিক থেকে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। তিনি যাবতীয় কূটনৈতিক কাজ চালাচ্ছিলেন।