বাঁ দিকে নরেন্দ্র মোদী, ডান দিকে নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
এক বছর আগেও বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ছিল জল্পনায়। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান সেই নীতীশ কুমার বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি হয়েই ঝুঁকে পড়লেন প্রণাম করতে!
শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৭৩ বছরের নীতীশের প্রণাম গ্রহণ করেননি ৭৪ বছরের মোদী। দ্বারভাঙার একটি সরকারি কর্মসূচিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নমস্কার করে প্রধানমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে গিয়ে পা ছোঁয়ার চেষ্টা করেন। তবে দ্রুত প্রতিবর্তক্রিয়ায় তাঁকে নিরস্ত করেন মোদী। নিজের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে নীতীশের হাত দু’টি ধরে নেন তিনি। তার পর তাঁকে পাশের আসনে বসান। প্রসঙ্গত, মোদীর জন্ম ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টম্বর। নীতীশের ১৯৫১-র ১ মার্চ। অর্থাৎ দু’জনের বয়সের ব্যবধান সাড়ে পাঁচ মাসের সামান্য বেশি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পঞ্চম বারের জন্য জোট বদলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন করে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। কিন্তু সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের অন্দরে এখনও নীতীশ সম্পর্কে নানা অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে লড়ে জিতলেও ২০২২ সালের অগস্টে এনডিএ ছেড়ে বিহারে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের সমর্থন নিয়ে ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার গড়েছিলেন নীতীশ। গত বছরের জুনে পটনায় সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তেও প্রধান উদ্যোগী ছিলেন তিনি। আগামী বছর বিহারে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি(আর), জিতনরাম মাঝিঁর হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চাকে পাশে পাওয়ায় বিজেপির নীতীশ-নির্ভরতা কিছুটা কমেছে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। তাই কি এ বার ‘মোদীর চরণে’ তিনি? যদিও লোকসভা ভোটের আগে বিহারে একটি সভায় মোদীকে প্রণাম করেছিলেন নীতীশ। যা নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিয়েছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।