ফাইল ছবি
উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। শনিবার তিনি বলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে প্রতিটি আক্রমণ আসলে ‘উপত্যকার আত্মাকেই’ আক্রমণ। একই সঙ্গে উপত্যকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরেছে বলে কেন্দ্রের যে দাবি, পরিস্থিতি তার বিপরীত বলেও দাবি করেন তিনি।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শ্রীনগরের সাংসদ ফারুক শনিবার দলের সংখ্যালঘু শাখার নেতা অমিত কউল-এর নেতৃত্বে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। সে সময় ফারুক বলেন, ‘‘আমাদের পণ্ডিত ভাইদের উপরে প্রতিটি আক্রমণ আসলে উপত্যকার আত্মার উপরেই আক্রমণ। আমি দীর্ঘদিন ধরে দেখেছি, কাশ্মীরি মুসলমান এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতরা পাশাপাশি একত্রে বাস করছেন। বর্তমান সরকার কেবল প্রচার এবং দেখনদারিতে ব্যস্ত। বাস্তব হল, (কাশ্মীরি পণ্ডিতদের) নিরাপদে এবং স্থায়ী ভাবে উপত্যকায় ফেরার ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।’’
মুখপাত্রটি জানান, সফরকারী দলটি ফারুকের সঙ্গে উপত্যকায় বসবাসকারী পণ্ডিতদের ব্যাপারে উদ্বেগ-সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ফারুকের আলোচনার পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ওই মুখপাত্রটি বলেন, ‘‘যাঁরা পুনর্বাসনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সরকারি চাকরি গ্রহণ করেছিলেন, এখন তাঁরা সময় মতো বেতন, ভাতা, কর্মস্থলে উন্নতি, সুস্থ জীবন পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন।’’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার রাজনৈতিক প্রচার চালালেও আসলে তাঁদের কাশ্মীরে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে কিছুই করেনি।’’
ফারুক প্রতিনিধি দলটির সদস্যদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি বিষয়গুলি নিয়ে উপত্যকার উপরাজ্যপাল এবং কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ফারুক জানিয়েছেন, শুধু কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই নন, উপত্যকায় বসবাসকারী শিখ এবং অন্য সংখ্যালঘুরাও উপত্যকার সংস্কৃতি এবং জীবনযাপনের অঙ্গ।
দিন কয়েক আগে জঙ্গিদের গুলিতে উপত্যকার সরকারি কর্মচারী এক কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং একজন পুলিশের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে ফারুক আবদুল্লার সঙ্গে পণ্ডিতদের প্রতিনিধি দলের এই আলোচনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
গত বৃহস্পতিবারই জঙ্গিরা চাদোরায় তহশিল অফিসে হানা দেয় এবং রাহুল ভট্ট নামে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গুলি করে খুন করে। এর এক দিন পরেই পুলিশের কনস্টেবল রিয়াজ় আহমেদ ঠোকারকে গুলি করা হয় গুডোরা জেলায়। তিনি পরে মারা যান।