স্মৃতি ইরানি এবং অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
সাংসদকে ভদ্রলোক (জেন্টলম্যান) সম্বোধন করে বিতর্কে জড়ালেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে ওড়িশার ব্রহ্মপুরের বিজেডি সাংসদ চন্দ্রশেখর সাহু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়া খাবারের মান বাড়ানোর জন্য সওয়াল করেছিলেন। উত্তরে স্মৃতি ওই সাংসদকে জেন্টলম্যান বলে বক্তব্য শুরু করলে আপত্তি জানান কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, উনি এক জন সাংসদ। ‘জেন্টলম্যান’ নন। তাঁকে সমর্থন করে কংগ্রেসের কে সুরেশ বলেন, সংসদের ডেকোরাম মানতে হবে। জবাবে স্মৃতি বলেন, “কংগ্রেস সাংসদের লক্ষ্যই হল আমাকে বলতে না-দেওয়া, যাতে তিনি তাঁর দলের জন্য রাজনৈতিক পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন। তাঁর (অধীরের) যদি মনে হয় সম্মানীয় সাংসদ (সাহু) জেন্টলম্যান নন, বিষয়টি যেন তাঁরাই বুঝে নেন।” স্মৃতি নিজের বক্তব্য চালিয়ে যেতে গেলে ফের দাঁড়িয়ে উঠে বাধা দেন অধীর। তিনি বলেন, “এ সব কী হচ্ছে? সাংসদকে ফের জেন্টলম্যান বলছেন মন্ত্রী। সাংসদের তো নাম রয়েছে।” অধীরকে সমর্থন করতে দেখা যায় কংগ্রেসের বাকি নেতাদের। তা দেখে অধীরকে কটাক্ষ করে স্মৃতি বলেন, “উনি যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন, সেই কাজে সফল হয়েছেন। প্রশংসাও পাচ্ছেন। এ বার আমাকে বলতে দেওয়া হোক।”
স্মৃতির জবাব শেষ হতেই সাহু অতিরিক্ত প্রশ্নে স্মৃতিকে ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করায় ফের বিষয়টি খুঁচিয়ে তোলেন স্মৃতি। তিনি জবাবে বলেন, “মাননীয় ভদ্রলোক আমাকে সম্মান দেখিয়ে ম্যাডাম সম্বোধন করেছেন। সম্মান জানানোর জন্য আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” তার পরেই ফের অধীরকে আক্রমণ শানিয়ে স্মৃতি বলেন, “আমি সংসদে রাজনৈতিক হেনস্থার শিকার হচ্ছি।’’ এর পরে অধীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এক জন ভদ্রলোকের এক জন মহিলাকে এ ভাবে হেনস্থা করাটা উচিত নয়।” শেষে স্পিকারের হস্তক্ষেপে বক্তব্য শেষ করেন স্মৃতি। এ দিকে যার তোলা প্রশ্ন নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত, সেই সাহু কিন্তু গোটা বিতর্কে একটি বাক্যও ব্যয় করেনননি। মুখ টিপে শুধু হাসতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।