হেঁটে সংসদের পথে অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র
কয়েক দিন আগে দিল্লিতে তাঁর সরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়ে কর্মীদের হেনস্থা ও নথিপত্র তছনছ করেছিল অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এ বার সংসদে যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হল লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর গাড়ি। তাঁর গাড়িতে এ বছরের নতুন ‘কার লেবেল’ নেই, এই অভিযোগে পথ আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। যদিও লোকসভার সচিবালয়ের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুরনো লেবেল এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৈধ। নতুন লেবেল বা স্টিকার কার্যকর হবে ১ এপ্রিল থেকে। বিজয় চক থেকে হেঁটে সংসদে পৌঁছে দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন অধীরবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘কী যে চলছে দিল্লিতে, ভেবে তাজ্জব হয়ে যেতে হচ্ছে!’’
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা এবং পাবলিক অ্যাকউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান হিসেবে সংসদ ভবনে জোড়া দফতর রয়েছে অধীরবাবুর। গাড়ি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালেও দু’বার সংসদে আসেন তিনি। অথচ বিরতির পরে ফের আসার সময়ে বিজয় চকে গাড়ি আটকে দিয়ে পুলিশ জানায়, সংসদের এই বছরের নতুন স্টিকার ছাড়া গাড়ি যেতে দেওয়া যাবে না। গাড়িতে ২০১৯ সালের যে স্টিকার লাগানো ছিল, তার মেয়াদ এই বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত— এই তথ্য জানিয়ে বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পুলিশ গাড়ি ছাড়েনি বলে অধীরবাবুর অভিযোগ। অগত্যা হেঁটেই সংসদে যান তিনি। কংগ্রেসের আর এক সাংসদ গুরজিৎ সিংহ অজলাকেও হেঁটে যেতে হয় সংসদ পর্যন্ত। সংসদে গিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক যুগ্ম সচিবের কাছে ঘটনা জানিয়েছেন অধীরবাবু। তার পরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জমা দিয়েছেন।
অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘লোকসভার বিষয়ে স্পিকারের নির্দেশই চূড়ান্ত। তাঁর নির্দেশেই জানানো হয়েছিল, পুরনো স্টিকার ৩১ মার্চ অবধি বৈধ থাকবে। আমি বারবার বলা সত্ত্বেও সেটা শোনা হয়নি। এক এক জায়গায় এক এক পক্ষ নিজেকে কর্তৃপক্ষ ভেবে নিলে তো কোনও নিয়মই থাকে না!’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘সংসদের কাজে আমাকে দিনে ১০ বার যাতায়াত করতে হতে পারে। সকালে ওই একই স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে এলাম। অথচ দুপুরে আসার সময়ে আটকে দেওয়া হল!’’ লোকসভার সচিবালয় ‘কার পার্কিং লেবেল’-এর বিষয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, তার প্রতিলিপিও স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিসের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন অধীরবাবু।