রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি, বললেন অধীর। — ছবি পিটিআই থেকে।
রাষ্ট্রপতিকে করা তাঁর মন্তব্যের জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে লোকসভা। এই নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী জানালেন, তাঁর কথায় দ্রৌপদী মুর্মু যদি আঘাত পান, তাহলে ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইবেন।
এই বিতর্কে সনিয়া গাঁধীকে কেন টেনে আনা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্নও তুলেছেন অধীর। তাঁর কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে অপমান করার কথা আমি ভাবতেও পারি না। এটা নেহাতই একটা ভুল ছিল। আমি বাঙালি, হিন্দিভাষী নই। রাষ্ট্রপতি যদি আঘাত পান, তা হলে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইব। আর কারও কাছে নয়। ওঁরা চাইলে আমায় ফাঁসি দিতে পারেন। আমি শাস্তি পেতে প্রস্তুত। কিন্তু এ সবে সনিয়া গাঁধীকে কেন টেনে আনা হচ্ছে?’’
বৃহস্পতিবার সকালে লোকসভায় দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলেন অধীর। সেই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। বিজেপি সাংসদরা তীব্র বিক্ষোভ দেখান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং নির্মলা সীতারামন দাবি করেন এই নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে।
অধীর জানিয়েছেন, তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে এ সব বলেননি। মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছিল। সনিয়া বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদদের বলেন, অধীর ইতিমধ্যেই এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। মেজাজ হারিয়ে স্মৃতি ইরানিকে সনিয়া ধমক দিয়ে ফেলেন বলেও খবর। বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে কথা বলবে না।’’