অভিযুক্ত শৃঙ্গীনারায়ণ যাদব। ছবি: টুইটার
জল খেতে মন্দিরে ঢুকে পড়া মুসলিম কিশোরটিকে বেধড়ক পেটাতে পেটাতে তার ভিডিয়ো করিয়েছিল সে। গ্রেফতারও হয়েছিল। কিন্তু গত কাল জামিন পেয়ে গিয়েছে সেই শৃঙ্গীনারায়ণ যাদব। এর পরে এই লোকটিরই সমর্থনে হ্যাশট্যাগ দেখা গিয়েছে টুইটারে। সংখ্যালঘু-নিগ্রহে অভিযুক্তকে সমর্থন করেছেন হরিয়ানা বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অরুণ যাদব। এমনকি পুণের ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিজেপি নেতা গজেন্দ্র চৌহানও একটি টুইট করেছিলেন। পরে অবশ্য সেই টুইট আর পাওয়া যায়নি।
উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের ডসনা দেবী মন্দিরের মহন্তের কট্টর সমর্থক শৃঙ্গী। সে ওই মন্দিরের অন্যতম কেয়ারটেকার বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। ভাইরাল ভিডিয়োয় আসিফ নামে কিশোরটিকে শৃঙ্গীর হাতে মার খেতে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে গ্রেফতারের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। শৃঙ্গী এবং ভিডিয়ো যে তুলেছিল, সেই শিবানন্দকে গ্রেফতার করে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। মন্দির কর্তৃপক্ষের একাংশ যদিও সে দিনই শৃঙ্গীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আর গত কাল সে জামিন পাওয়ার পরে দেখা যায়, সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ভারতে টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছে ‘আই স্ট্যান্ড উইথ শৃঙ্গী যাদব’ হ্যাশট্যাগ।
প্রায় ৭৩ হাজার টুইট হয়েছে এই হ্যাশট্যাগে। হরিয়ানা বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অরুণ যাদবের টুইট, ‘‘সিংহের মতো হিন্দুর গর্জন। শৃঙ্গী যাদবের পাশে আছি।’’ পরে সংবাদমাধ্যমকেও খোলাখুলি অরুণ জানিয়ে দেন, হ্যাশট্যাগ চালু করে শৃঙ্গীকে সমর্থন করছেন ‘তাঁরা’। গজেন্দ্র চৌহানের টুইটটিতে ছিল, ‘‘আমি শৃঙ্গী যাদবের সঙ্গে আছি। জাতীয়তাবাদীর সঙ্গে আছে দেশ।’’ সেটি অবশ্য পরে ডিলিট করা হয়।
আসিফদের এক কামরার সংসারে এত খবর পৌঁছেছে কি না, জানা নেই। মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে চৌকিতে শোয়া ছেলের পাশে ঠায় বসে আছেন মা। বাবা-মা আর পাঁচ ছেলেমেয়ের বাস এই বাড়িতে। প্রতিবেশীরা কেউ আনছেন খাবার। কেউ টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করছেন। তবে আসিফের জন্য বড় করে তহবিল সংগ্রহের কাজও শুরু হয়েছে। তাতে এখনও পর্যন্ত সাত লক্ষ টাকা উঠেছে বলে খবর।