ফের মাস্ক পরে স্কুলে। শুক্রবার জম্মুতে। ছবি: পিটিআই।
গোটা দেশে নতুন করে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ওই রোগীদের কত জন নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস জেএন.১ দ্বারা সংক্রামিত তা খতিয়ে দেখতে আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সে পাঠানো হয়েছে। তবে জেএন.১-এর সংক্রমণের হার বেশি হলেও, মারণক্ষমতা কম বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বয়স্ক ব্যাক্তিরা, যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে কোনও গুরুতর রোগে ভুগছেন বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের সাবধানে থাকতে বলছেন চিকিৎসকেরা। আসন্ন উৎসবের মরসুমে কেবল মাত্র প্রয়োজনেই বাড়ি থেকে বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।
বছরের শেষে নতুন করে গোটা বিশ্ব জুড়েই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ জেএন.১। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোভিড টাস্ক ফোর্সের রাজীব জয়দেবন জানিয়েছেন, ওমিক্রনের উপশাখা হল জেএন.১। ওমিক্রন ভাইরাসে মিউটেশন বা চরিত্র পরিবর্তনের ফলে জেএন.১ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে এটির সংক্রমণের হার বেশি। রাজীবের কথায়, জেএন.১ বয়স্ক মানুষদের কিছুটা সমস্যায় ফেলতে পারে। অন্যদের তেমন ভয়ের কিছু নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত জেএন.১ আক্রান্তদের শরীরে যে উপসর্গ দেখা গিয়েছে তা মৃদু। সাধারণ সর্দিকাশির ক্ষেত্রে যেমন উপসর্গ হয় জেএন.১ আক্রান্তদের ক্ষেত্রে একই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এই সংক্রমণের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, ভয়ের কিছু নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ইতিবাচক দিকটি হল, ওমিক্রন যখন গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, তখনও এ দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের অধিকাংশই ঘরে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। ওমিক্রন সংক্রমণের একাধিক ঢেউ এসে আবার চলে যায় কিন্তু তা জনমানসে সেই অর্থে প্রভাব ফেলেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, এর অন্যতম কারণ টিকাকরণ। দেশের প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষের দু’ডোজ টিকাকরণের ফলে শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে প্রভাব ফেলতে পারেনি সংক্রমণের ঢেউগুলি।
আজ গোটা দেশে নতুন করে কোভিডে ৬৪০ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে ওই রোগে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৯৭-এ। দক্ষিণ ভারতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কর্নাটক সরকার সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে। তবে পিছিয়ে নেই উত্তর ভারত। দিল্লি সংলগ্ন নয়ডায় এক জন ও গাজিয়াবাদে তিন জন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে।