Delhi High Court

কিশোর প্রেম ‘ধূসর এলাকা’: হাই কোর্ট

হাই কোর্টের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই ১৭ বছরের বেশি বয়সি মেয়েরা তাদের প্রেমিকের সঙ্গে পালাচ্ছে। ধরা পড়ার পরে মেয়ের বাবা-মা তাকে বয়ান বদলাতে বাধ্য করছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কিশোর বয়সের প্রেমের মতো বিষয় আইনের ‘ধূসর এলাকা’য় পড়ে বলে মন্তব্য করল দিল্লি হাই কোর্ট। আদৌ বিষয়টিকে অপরাধের তালিকায় ফেলা যায় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বলে মত বিচারপতি সুব্রমণিয়াম প্রসাদের।

Advertisement

হাই কোর্টের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই ১৭ বছরের বেশি বয়সি মেয়েরা তাদের প্রেমিকের সঙ্গে পালাচ্ছে। ধরা পড়ার পরে মেয়ের বাবা-মা তাকে বয়ান বদলাতে বাধ্য করছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বয়ান পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানের বিপরীত।

১৭ বছরের একটি মেয়েকে অপহরণের মামলায় বছর বাইশের এক যুবককে জামিন দিয়ে আজ এই মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। বিচারপতি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে অভিযুক্ত হেফাজতে রয়েছেন। চার্জশিট পেশ হয়েছে। ওই যুবককে হেফাজতে রাখা তাঁর ভবিষ্যতের পক্ষে ক্ষতিকর।

Advertisement

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এফআইআর করেন বছর সতেরোর মেয়েটির বাবা। তিনি জানান, তাঁর মেয়েকে ‘ভুল বুঝিয়ে’ অপহরণ করেছেন ওই যুবক। ২০২২ সালের মার্চ মাস মেয়েটিকে ‘উদ্ধার’ করে পুলিশ। কিন্তু প্রথমে পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে মেয়েটি বলে, এক বন্ধুর বাড়ি থেকে তার প্রেমিক ওই ২২ বছরের যুবকের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশে পালায় সে। সেখানে ভাড়াবাড়িতে থাকত। যখন সে জানতে পারে তার বাবা ফৌজদারি মামলা করেছেন তখন তারা দিল্লিতে ফিরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

কিন্তু ২৩ দিন পরে মেয়েটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বয়ানে জানায়, অভিযুক্ত তাকে ভুল বুঝিয়েছিল। সে বলেছিল মেয়েটির বাবা-মা মেয়েটিকে খুন করতে চায়। তার পরে তাকে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বাবা-মার কাছে ফিরতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে ওই যুবকের বাবা ও কাকা মধ্যপ্রদেশ থেকে তাকে বিহারে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে বিয়ের ভুয়ো নথি তৈরি করেন তাঁরা। পরে ছেলেটির বাবা তাকে দিল্লিতে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

যুবককে জামিন দিয়ে হাই কোর্টের মন্তব্য, ২৩ দিন পরে দেওয়া বয়ানে ‘তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন’ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement