—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্জাব লাগোয়া পাকিস্তান সীমান্ত থেকে এক বছরে ১০০-রও বেশি ড্রোন উদ্ধার করেছে বিএসএফ। প্রায় ৫০০ কেজির মাদকও উদ্ধার করেছে তারা। চলতি বছরের শেষ দিনে একটি বিবৃতি দিয়ে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আনল বিএসএফ।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে তারা সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চল থেকে ১০৭টি ড্রোনকে নামিয়েছে। তা ছাড়া ৪৪৫ কেজি হেরোইন, ২৩টি অস্ত্র এবং ৫০৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান সীমান্ত হয়ে পঞ্জাবে মাদক চোরাচালান হওয়ার অভিযোগ বেশ পুরনো৷ তা ছাড়া সীমান্তের ও পার থেকে ড্রোন পাঠিয়ে নজরদারি চালানো কিংবা মাদক পাচার করার ঘটনাও ওই সীমান্ত অঞ্চলে অভিনব কিছু নয়। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই বিপুল পরিমাণ ড্রোন এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই এক বছরে সীমান্ত পেরিয়ে জোর করে ঢুকতে চাওয়া তিন জনকে গুলি করে থামাতে ‘বাধ্য হয়েছে’ বিএসএফ। অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে পঞ্জাবের পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ধরা হয়েছে ২৩ জন পাকিস্তানি নাগরিক এবং ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে। তা ছাড়া চোরাচালানকারী সন্দেহে ৩৫ জন ভারতীয়-সহ মোট ৯৫ জনকে আটক করেছে বিএসএফ। ভুল করে এ দেশে ঢুকে পড়া ১২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে সে দেশের হাতে তুলে দিয়েছে তারা।
পঞ্জাবের সঙ্গে পাকিস্তানের ৫৫৩ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত অঞ্চল দীর্ঘ কাল মোটের উপর শান্ত এবং নিরাপদ থাকলেও সম্প্রতি ড্রোনের মাধ্যমে মাদক এবং অবৈধ অস্ত্র এ দেশে ঢোকাতে চাইছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। বেআইনি ড্রোনের গতিবিধি জানতে অনুপ্রবেশ রুখতে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সীমান্ত প্রহরায় নিযুক্ত বিএসএফও।