নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তৃণমূল আরও বিপাকে পড়ল বলেই মনে করছে তৃণমূল-বিরোধী দলগুলি। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তো আশা, এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ন্ত্রণে রাখা নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষে আরও সহজ হবে। সেই জল্পনায় সায় দিচ্ছেন রাজ্য কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারা।
সিবিআই অস্ত্রে মোদী সরকার যাতে মমতাকে চাপে রাখতে না পারে তার জন্যই তৃণমূল সুপ্রিম কোর্টে বাঘা আইনজীবীদের নামিয়েছিল। আদালত সিবিআই-কে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দেওয়ায় নারদ-কাণ্ডের ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই মোদীর হাতে বলেই মনে করছে প্রতিপক্ষ শিবির। বিজেপি সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারের দিক থেকেও মমতার সঙ্গে রাজনৈতিক দর কষাকষি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে মমতাকে রাজি করিয়ে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে চান মোদী। সেই কাজে সিবিআই-জুজু ফলপ্রসূ হতে পারে বলে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের আশা।
তৃণমূলের দিক থেকেই নরম হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করছেন বিজেপির ওই নেতারা। তাঁদের মতে, মণিপুরের তৃণমূল বিধায়কের বিজেপি সরকারকে সমর্থন দেওয়া থেকে শুরু করে সংসদে বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূলের নীরবতা—এ সবই আসলে তাদের রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ।
তৃণমূল অবশ্য এ কথা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশ ভোটের পর মোদী বিরোধিতার সঠিক সময় এটা নয়। কিন্তু মমতা কখনওই মায়াবতী-মুলায়মের মতো রাজনৈতিক আপস করেননি। আগামী দিনেও করবেন না। যদিও নবান্ন-সাউথ ব্লক বোঝাপড়া হতে পারে, এমন আশঙ্কা ছড়িয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও।