রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ছ’ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল মুম্বই বিমানবন্দরের প্রধান তিনটি রানওয়ের মধ্যে একটি। যার জেরে বাতিল হল প্রায় ৩০০ উড়ান। ফলে বিপাকে পড়লেন বহু যাত্রী।
অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ— বছরে এই দু’বার রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ৪ অক্টোবর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, আগামী ২৩ অক্টোবর মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি রানওয়ে দিয়ে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।
কাল এয়ার ইন্ডিয়া টুইট করে যাত্রীদের জানায়, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা— এই ছ’ঘণ্টা বন্ধ থাকবে মুম্বই বিমানবন্দরের একটি রানওয়ে। বাতিল হওয়া উড়ানের পুনর্নির্ধারিত সময় জানার যাবে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়েবসাইট, অ্যাপে। তা ছাড়া, কলসেন্টারে যোগাযোগ করেও সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে। শুধু এয়ার ইন্ডিয়াই নয়, অন্যান্য উড়ান সংস্থার উড়ানের উপরেও রানওয়ে বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে।
এক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার জানিয়েছেন, এমনিতে সব বিমানবন্দরে বেশি চাপ থাকে সকালে আর বিকেলে। তুলনামূলক ভাবে দুপুরের দিকে চাপটা একটু কম থাকে। কিন্তু মুম্বই বিমানবন্দর এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। যে হেতু এটি ব্যস্ত বিমানবন্দর, তাই গত কয়েক বছর ধরে দুপুরের দিকেও চাপ থাকে। সেই চাপ কমেনি, বরং বেড়েছে।
যে সব যাত্রী দুপুরের দিকে মুম্বই আসা-যাওয়ার উড়ানের টিকিট কেটেছিলেন, সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কারণ, সব উড়ানই প্রায় বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা বিকেলের উড়ানে মুম্বইয়ের বাইরে যাওয়ার টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের উড়ান যাতায়াতে দেরি হবে।
কারণ তাঁদের উড়ানগুলি বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে সাড়ে সাতটার মধ্যে নির্ধারিত হয়েছে।
কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রানওয়ে বন্ধ থাকার কথা আগে জানানো হওয়া সত্ত্বেও যাত্রীদের হেনস্থা হল কেন?
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, একটি রানওয়ে বন্ধ থাকার কথা মাথায় রেখে কিছু উড়ানের সময় পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু রানওয়ে বন্ধ থাকলে ঠিক কতটা চাপ পড়বে তা বোঝা যায়নি। তার ফলে শেষ পর্যন্ত কিছু উড়ান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বিমান সংস্থা।
এর পরে দ্বিতীয় দফার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে। ওই সময়সীমার মধ্যে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই কাজ চলবে। তবে ২১ মার্চ কোনও কাজ হবে না।