তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বড়দিনের ছুটিতে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গোয়ায় যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে তিনি যেতে পারেন ত্রিপুরাতেও। তৃণমূল সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম ছাড়াও জোড়াফুল শিবিরের যোগদান কর্মসূচিতেও উপস্থিত থাকতে পারেন অভিষেক। যদিও তাঁর ত্রিপুরা সফর এখনও চূড়ান্ত নয়।
আগামী বছরের ফেব্রুয়াতিতে গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে ওই রাজ্যে তৃণমূলের জমি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের গোড়ায় তিন দিনের গোয়া সফরে গিয়ে জনসভা থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক বা ওই রাজ্যের বিশিষ্ট জনদের সঙ্গেও আলাপচারিতা সেরেছেন মমতা। ওই সফরে গিয়ে মমতার দাবি ছিল, গোয়ায় তিন দশকের বিজেপি শাসনের বিকল্প হতে পারে একমাত্র তৃণমূল এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) জোট। মমতার ওই সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন অভিষেকও। এ বার তৃণমূলনেত্রীর পথ অনুসরণ করেই বড়দিনের ছুটিতে দলের হয়ে ফের ওই রাজ্যে জনসংযোগে মন দেবেন অভিষেক। তূণমূল সূত্রের খবর, আগামী ২৬-২৮ ডিসেম্বর গোয়া সফরে যাবেন তিনি। বড়দিনের ছুটিতে গোয়ায় বিশেষ উৎসবের ফাঁকে সেখানকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা সারবেন তিনি।
গোয়া সফরের পর ২৯ ডিসেম্বর ত্রিপুরায় যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। এক দিন ত্রিপুরায় কাটিয়ে সেখান থেকে ৩০ তারিখ কলকাতায় ফিরবেন তিনি। গোয়ার আগেই ত্রিপুরাতেও সংগঠন বাড়ানোয় মন দিয়েছে তৃণমূল। আসন্ন সফরেও অভিষেকে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। যদিও শুক্রবার ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিংহের দাবি, অভিষেকের ত্রিপুরা সফর এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘বছরের শেষে ত্রিপুরায় আসতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যে তাঁর বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সাংগঠনিক কাজ ছাড়াও তৃণমূলে যোগদান কর্মসূচিতেও দেখা যেতে পারে তাঁকে। তবে অভিষেকের সফর এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে এই মুহূর্তে সংবাদমাধ্যমে জানানো যায়নি।’’