গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হল গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে। শুক্রবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিয়োগে সিলমোহর দেন। এ মাসের শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া যাওয়ার কথা। তাঁর ওই সফরের আগে ফেলেইরোকে দলীয় পদে আনার পিছনে বড় কোনও কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। আবার তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী সোমবার থেকে তারা গোয়ায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চলেছে। সেখানেও চমক থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
বিধানসভা ভোটের মুখে গোয়ায় দলীয় সংগঠন বৃদ্ধির দিকে জোর দিয়েছে তৃণমূল। দশমীর দিন পানাজিতে সে রাজ্যের প্রথম দলীয় দফতর খোলে তারা। এরই মধ্যে মমতার গোয়া যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ২৮ অক্টোবর তৃণমূল নেত্রী গোয়ার উদ্দেশে পাড়ি দিতেন পারেন। সেখানে তাঁর দু’দিনের কর্মসূচি রয়েছে। গোয়া বিধানসভা ভোটের মুখে মমতার ওই সফরের পিছনে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ইতিমধ্যে সে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার কথা জানিয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের তরফে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার গোয়ায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করছে দল। ওই কর্মসূচিতে থাকতে পারেন সাংসদ সৌগত রায় ও বাবুল সুপ্রিয়। সে ক্ষেত্রে এটিই হবে তৃণমূলের হয়ে বাবুলের প্রথম নির্বাচনী প্রচার।
বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়তে পশ্চিমের ওই রাজ্যে তৃণমূলের লড়ার ভাবনা প্রথম এসেছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের মাথায়। তার পর অভিষেকও তাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই মতো দেশের ক্ষুদ্রতম রাজ্যে ধীরে ধীরে সংগঠন বৃদ্ধির দিকে জোর দেয় তৃণমূল। তার প্রথম ঝলক দেখা যায়, সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরো-সহ বেশ কিছু কংগ্রেস নেতাকে দলে আনা। এ বার খোদ মমতার যেতে পারেন সে রাজ্যে। ফলে তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে নিজেদের ভাবনায় কতটা দৃঢ় তৃণমূল।