বুধবার পুলওয়ামায় লেলহারির শেষকৃত্য। ছবি: রয়টার্স।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে আল-কায়দার জম্মু-কাশ্মীর শাখা আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ (এজিএইচ)-এর প্রধান হামিদ লেলহারি ও তার দুই সঙ্গীর। লেলহারি এজিএইচের প্রাক্তন প্রধান জাকির মুসার উত্তরসূরি ছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহের দাবি, লেলহারি নিহত হওয়ায় উপত্যকা থেকে এজিএইচ নিশ্চিহ্ন হয়েছে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ত্রালে গত কাল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় লেলহারি-সহ দুই জঙ্গি। আজ তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন দিলবাগ। লেলহারি হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, লেলহারি-সহ যে তিন জন নিহত হয়েছে, তার সকলেই জাকির মুসার দলের সদস্য। নিরাপত্তা বাহিনী, সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা-সহ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে তারা জড়িত ছিল।’’ সন্ত্রাস দমন অভিযানে এজিএইচের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে দাবি পুলিশ প্রধানের। তাঁর বক্তব্য, জইশ ই মহম্মদ উপত্যকায় হিংসার জন্য এজিএইচ-সহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের নির্দেশেই কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালাতে সচেষ্ট জইশ এবং লস্কর এ তইবা। পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল জঙ্গিরা যেখানে লুকিয়ে ছিল সেখান থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। আরও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা।
এক সময়ে হিজবুলের সদস্য ছিল জাকির মুসা। পরে হুরিয়ত ও হিজবুলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে আলাদা সংগঠন তৈরি করে সে। পরে তার সংগঠনকে নিজেদের কাশ্মীর শাখা বলে দাবি করে আইএস এবং আল কায়দা। গত মে মাসে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় মুসা। তার পরই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য লেলহারিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত জুনে লেলহারি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল। সেখানে দেখা যায়, সব জঙ্গি সংগঠনকে একত্রিত করে ভারতে হামলা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছে সে। ওই ভিডিয়ো সেনার হাতে পৌঁছনোর পরই লেলহারির খোঁজ শুরু হয়। এজিএইচের প্রধানকে হত্যাকে নিরাপত্তাবাহিনীর বড় সাফল্য বলে মনে করেছে সেনা।
গত কাল রাজৌরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত জওয়ান ভালতে সুনীল রাওসাহেবকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় সেনা। তাঁর দেহ মহারাষ্ট্রের পুণের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।