প্রতীকী ছবি।
অসমে আসন্ন বিধানসভা ভোটে আসু ও এজেওয়াইসিপি-এই দুই ছাত্র ও যুব সংগঠন মিলিত ভাবে রাজনৈতিক দল গড়ে ভোটে লড়তে নামবে। ১২৬টি আসনের মধ্যে ৮০ থেকে ১০০টি আসনে প্রার্থী দিতে ইচ্ছুক তারা।
সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময়েই বিকল্প রাজনৈতিক দল গড়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু করোনায় আন্দোলনের গতি থমকে গিয়েছে। আন্দোলনে যোগ দেওয়া অনেক নেতাও সরে গিয়েছেন। আসুর নেতৃ্ত্বে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করার জন্য ১৮ সদস্যের অসম উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিণজ্যোতি গগৈ জানান, কমিটির সুপারিশ মেনে আসু ও এজেওয়াইসিপির যৌথ ভাবে দল গড়া উচিত। আগামী দিন দশেকের মধ্যেই দল গঠনের কথা ঘোষণা করা হবে।
এ দিকে আন্দোলনে তাদের শরিক কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি ইতিমধ্যেই পৃথক রাজনৈতিক দল গড়ে ভোটে নামার কথা জানিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে সব বিজেপি বিরোধী দলের মহাজোট গড়ার প্রস্তাব রয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া মিলেছে এআইইউডিএফের তরফে।
আসু ও এজেওয়াইসিপি জানিয়েছে, তারা কংগ্রেসের সঙ্গে প্রাক নির্বাচনী সমঝোতা করবে না। গগৈয়ের মতে, কংগ্রেস এখন ক্ষমতায় নেই, তাই সিএএর বিরোধিতা করছে বা মহাজোটের কথা বলছে। ক্ষমতায় থাকলে তারাই বিল আনত। কারণ এত বছর ক্ষমতায় থেকেও অসম চুক্তির রূপায়ণে তারা কিছু করেনি। এখন ক্ষমতা ফিরে পেতে তারা আঞ্চলিক দলগুলি ও ছাত্র সংগঠনকে সিঁড়ি বানাতে চাইছে। অবশ্য আঞ্চলিক দলগুলির ভোট ভাগ আটকাতে কৃষক মুক্তির সঙ্গে সমঝোতার দরজা খোলা। আঞ্চলিক গণ মোর্চার সঙ্গেও হাত মেলাতে পারে তারা। সেই জন্যেই তারা সব আসনে প্রার্থী দেবে না। বিজেপিকে উৎখাত করতে নির্বাচনের পরে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতেও পারে।