(বাঁ দিকে) রাহুল গান্ধী। অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আর কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে থাকবে না আম আদমি পার্টি। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল জানিয়ে দিল, ‘ইন্ডিয়া’ কেবল লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে রাজধানীতে পূর্ণ শক্তি নিয়েই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ।
বৃহস্পতিবার কেজরীর বাড়িতে আপের বিধায়ক এবং শীর্ষ নেতারা একটি বৈঠক করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী গোপাল রাই সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও রকম জোটে থাকতে চান না। একাই লড়তে চান। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলা হয়েছিল। অনেক দল ওই জোটের শরিক হিসাবে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়েছে। আপও তার অন্যতম অংশ ছিল। কিন্তু আপাতত দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আপ কোনও জোটে নেই।’’
আপের সর্বময় নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে জেলবন্দি। লোকসভা নির্বাচনে ‘প্রতিকূল’ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের লড়তে হয়েছে বলে দাবি করেন গোপাল। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নেতা জেলে। আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। কেজরীর গ্রেফতারিতে দলের কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ। তবে তা সত্ত্বেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকেছি। দিল্লিতে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান অনেক কমেছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগামী ৮ জুন আমরা কাউন্সিলরদের সঙ্গে একটি বৈঠক করব। ১৩ তারিখ বৈঠক হবে দিল্লিতে দলের কর্মীদের সঙ্গে। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে মোটেই ভাল ফল করতে পারেনি আপ। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেও লাভ হয়নি। রাজধানীর সাতটি আসনই দখল করেছে বিজেপি। আপ-কংগ্রেস জোট সেখানে শূন্য। শুধু দিল্লিতেই নয়, সারা দেশে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে কেজরীর দল। তিনটিই পঞ্জাব থেকে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে তারা একাই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল। ‘হাত’ ছেড়ে দিল কেজরীর দল।
লোকসভা নির্বাচনে ২৩৩টি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। শরিক দলগুলির সমর্থন নিয়ে আগামী রবিবার তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।