(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও দিল্লিতে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে ১২ জন বিজেপি প্রার্থী জিতেছেন, সকলকেই দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই ১২ জন জয়ী প্রার্থী এবং শুভেন্দুকে দিল্লি পৌঁছে যেতে বলেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সঙ্গে যেতে বলা হয়েছে দুই রাজ্যসভা সাংসদ অনন্ত রায় এবং শমীক ভট্টাচার্যকে।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে চলেছে। তবে বিজেপি একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। যে কারণে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের এনডিএ-র শরিক দলগুলির দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। বুধবার বিকেলে দিল্লিতে এনডিএ-র বৈঠক হয়েছে। সেখানে শরিক দলগুলি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে চিঠিও দিয়েছে। শনিবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন। তার আগে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে দিল্লিতে।
শুধু বাংলা থেকেই নয়, এনডিএ-র সমস্ত জয়ী প্রার্থীকে নিয়েই সংসদীয় বৈঠক হবে দিল্লিতে। ৭ জুন সেই বৈঠকের দিন স্থির হয়েছে। বাংলা থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা এক দিন আগেই রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন। বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দুও থাকবেন তাঁদের সঙ্গে।
পশ্চিমবঙ্গে এ বার আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিতও মেলেনি কিছুই। আগের বারের চেয়েও কম আসন পেয়েছে তারা। রাজ্য বিজেপির মধ্যে ইতিমধ্যে এই ব্যর্থতার মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। কিছু নেতা প্রকাশ্যেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। অভিযোগ, তাঁর সিদ্ধান্তে একাধিক আসনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। দিলীপ ঘোষকে তাঁর জেতা আসন থেকে সরিয়ে বর্ধমান দুর্গাপুরে পাঠানো, কিংবা মেদিনীপুরে অগ্নিমিত্রা পালকে নিয়ে আসা— হারের পর দলের অন্দরেই এই সিদ্ধান্তের কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।