অরবিন্দ কেজরীওয়াল, অতিশী মারলেনা এবং আপ মন্ত্রীরা। ছবি: পিটিআই।
আম আদমি পার্টি (আপ)-র তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময়সূচি মেনেই শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন অতিশী মারলেনা। দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) ভিকে সাক্সেনার সরকারি বাসভবন ‘রাজ নিবাসে’ অতিশীর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন আরও পাঁচ আপ বিধায়ক— সৌরভ ভরদ্বাজ, গোপাল রাই, কৈলাস গহলৌত, মুকেশ অহলাওত এবং ইমরান হুসেন।
অতিশীর শপথে হাজির ছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে অতিশী হলেন এই মুহূর্তে দেশের দ্বিতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লিতে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন দু’জন নেত্রী— বিজেপির সুষমা স্বরাজ এবং কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত। কেজরীওয়াল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর সাক্সেনার সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দিয়েছিলেন কেজরী। তাঁর সঙ্গেই ‘রাজ নিবাসে’ গিয়ে দিল্লিতে নতুন সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিলেন অতিশী।
তার আগে মঙ্গলবার দুপুরে আপ পরিষদীয়দলের বৈঠকে কেজরীর প্রস্তাব মেনে সর্বসম্মতিক্রমে অতিশীকে নেতা নির্বাচিত করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরীওয়াল। তিনিই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে আপ প্রধান গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। পরের দিন দুপুরে দলীয় এক সম্মেলনে তিনি জানান, দু’দিন পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেবেন তিনি। সঙ্গে এ-ও জানান, পুনরায় ভোটে না জেতা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে তিনি আর ফিরবেন না।