গ্রেফতারির পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেজরীওয়ালকে। বৃহস্পতিবার রাতে। ছবি: পিটিআই।
আর্জি জানালেও বৃহস্পতিবার অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে ‘রক্ষাকবচ’ দেয়নি দিল্লি হাই কোর্ট। তার পরেই সন্ধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকেরা। প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
গ্রেফতারির আগেই কেজরীওয়ালের ফোন বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। তবে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কী পাওয়া গিয়েছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও পর্যন্ত তা জানায়নি ইডি। তবে কেজরীর দল আপের দাবি, তল্লাশি চালিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৭০ হাজার টাকা নগদ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সেই টাকা না কি তাঁরা ফিরিয়েও দেন।
এই প্রসঙ্গে আপ নেতা তথা দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে ইডি মাত্র ৭০ হাজার টাকা পেয়েছে এবং তা ফিরিয়ে দিয়েছে। তার পর মুখ্যমন্ত্রীর ফোন বাজেয়াপ্ত করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।” একই সঙ্গে সৌরভের দাবি, ইডি কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বা অন্য কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেজরীওয়ালকে ভয় পেয়েই এই গ্রেফতারি করিয়েছেন বলেও দাবি করেছে আপ।
গত বছর থেকেই আবগারি মামলায় অরবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাচ্ছিল ইডি। প্রতি বারই তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। আট বার হাজিরা এড়ানোর পর নবম হাজিরার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। এর আগে আবগারি মামলাতেই রক্ষাকবচ চেয়ে দিল্লির নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। সেখানে তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন মঞ্জুরও করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হয়। বৃহস্পতিবার নবম হাজিরার দিন কেজরীওয়াল ইডি দফতরে না গিয়ে সরাসরি দিল্লি হাই কোর্টে যান। সেখানে নতুন করে রক্ষাকবচের দাবি জানান। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
দিল্লিতে আপ সরকারের আমলে আবগারি নীতি বদলে ফেলে কয়েকটি সংস্থাকে বেআইনি ভাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গত বছরই বিতর্কিত এই আবগারি নীতি বাতিল করার কথা ঘোষণা করে দিল্লির আপ সরকার। তার আগেই এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং সাংসদ সঞ্জয় সিংহের। পরে কেজরীওয়ালের নামও জড়ায় এই মামলায়।