দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
জামিনে মুক্তির পর এ বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফার সিদ্ধান্ত অরবিন্দ কেজরীওয়ালের। রবিবার দুপুরে দলীয় এক সম্মেলনে আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান জানিয়েছেন, দু’দিন পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেবেন তিনি। সঙ্গে এ-ও জানিয়েছেন, পুনরায় ভোটে না জেতা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে তিনি আর ফিরবেন না। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ৬ মাস জেলে ছিলেন তিনি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শুক্রবারই তিহাড় থেকে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জেলমুক্তির দু’দিনের মধ্যেই এ বার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
রবিবার দুপুরে দলীয় বৈঠকে আপ প্রধান বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যত দিন না জনতা জনার্দনের রায় পাচ্ছি, তত দিন আমি এই আসনে আর ফিরব না। কয়েক মাস পরেই দিল্লিতে ভোট রয়েছে। আদালতে আমি বিচার পেয়েছি। এ বার জনতার আদালতে বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছি আমি। মানুষ যে দিন চাইবে, সে দিনই আমি আবার মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরব।” একই সঙ্গে দিল্লিবাসীর উদ্দেশেও কেজরীওয়ালের অনুরোধ, যদি মানুষ তাঁকে নির্দোষ বলে মনে করেন, যদি মানুষ ভাবেন তিনি দিল্লির জন্য কাজ করেছেন, তবে তাঁকে যেন পুনরায় ভোট দেওয়া হয়।
আপ প্রধান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কে বসবেন তাঁর আসনে? কে বলেন কেজরীর উত্তরসূরি? তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। কেজরীওয়াল কেবল জানিয়েছেন, দলের মধ্যে থেকে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে। তবে তিনি কে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন আপ প্রধান।
কেজরীওয়ালের এই ঘোষণাকে তাঁর অগ্নিপরীক্ষা হিসাবেই ব্যাখ্যা করছেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চড্ডা। তাঁর কথায়, “আজ তিনি (কেজরীওয়াল) অগ্নিপরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দিল্লিবাসী আপকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করে দেবে যে তিনি সৎ।”
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, মাস পাঁচেক পরেই দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। নির্বাচন হতে পারে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তবে সেই নির্বাচন যাতে এগিয়ে আনা হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন আপ প্রধান। কেজরীওয়ালের দাবি, নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের ভোটের সঙ্গেই দিল্লিতেও ভোট করানো হোক। কেজরীওয়ালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকে ভোটের আগে পর্যন্ত যেটুকু সময় পাবেন, ওই সময় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবেন তিনি।