Bhagwant Mann

Bhagwant Mann: মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার আগেই ১২২ জন ভিআইপি-র নিরাপত্তা প্রত্যাহার মানের

আগামী ১৬ মার্চ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার আগেই রাজ্যের ১২২ জন ভিআইপি-র নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিলেন আম আদমি পার্টির নেতা ভগবন্ত মান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২ ০৫:৩৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

আগামী ১৬ মার্চ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার আগেই রাজ্যের ১২২ জন ভিআইপি-র নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিলেন আম আদমি পার্টির নেতা ভগবন্ত মান। এই তালিকায় রয়েছে কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী, অকালি দল এমনকি আপের প্রাক্তন বিধায়কেরাও।

Advertisement

আগামী ১৬ মার্চ দুপুরে ভগৎ সিংহের গ্রাম খটকড় কালানে শপথ নেবেন মান। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত মান পঞ্জাব পুলিশের ডিজি ভি কে ভাঁওরার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পঞ্জাব পুলিশকে লেখা চিঠিতে তিনি রাজ্যের ১২২ জন ভিআইপি-র নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। আজ এ নিয়ে যে সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, তালিকায় অধিকাংশ নেতাই পঞ্জাব কংগ্রেসের। এর আগে কংগ্রেসি সরকার এঁদের জন্য নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল। তালিকায় রয়েছে অনেক প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম, যাঁরা এ বার জিততে পারেননি। আবার অনেকে জিতলেও এবার আর মন্ত্রী হতে পারছেন না। তাই তাঁদের নিরাপত্তাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার কিংবা ডেপুটি স্পিকারও আর নিরাপত্তা পাবেন না। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ রাজার নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত থাকতে হতো ২১ জন নিরাপত্তাকর্মীকে। মানের নির্দেশে সেই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ বার আপ ঝড়ের মধ্যেও অবশ্য নিজের কেন্দ্র থেকে জয়ী হতে পেরেছেন রাজা। পঞ্জাবের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদলের নিরাপত্তা বলয় গড়ে উঠেছিল ১৯ জন নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে। এবারের ভোটে হেরে গিয়েছেন মনপ্রীত। তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে নভজ্যোত সিংহ সিধুর স্ত্রী নভজ্যোত কউর সিধুরও। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সাত জন।

তবে অকালি নেতা প্রকাশ সিংহ বাদলের পরিবারের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই বাদল পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ ও চরণজিৎ সিংহ চন্নীর নিরাপত্তা বহাল রয়েছে। তবে বাকি নেতাদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার পিছনে মান যুক্তি দিয়েছেন, ‘‘নেতাদের বাড়ির সামনে তাঁবু খাটিয়ে বসে রয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। আর থানাগুলি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আমরা তাই পুলিশের কাজের বোঝা কমিয়ে দিলাম। কারণ, পঞ্জাবের সাড়ে তিন কোটি মানুষের নিরাপত্তা আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement