প্রতীকী ছবি।
করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য আধার কার্ডের তথ্য বাধ্যতামূলক নয় বলে আজ সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতে নরেন্দ্র মোদী সরকার জানিয়েছে, কোভিড-১৯ টিকাকরণের জন্য কো-উইন পোর্টালে আধারের যাবতীয় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক প্রাক-শর্ত নয়। এর পরেই
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে আধার দেখাতে জোর করা যাবে না।
বেশ কিছু টিকাকরণ কেন্দ্রে করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার সময় আধার দেখানোর জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন মহারাষ্ট্রের পুণের আইনজীবী তথা সমাজকর্মী সিদ্ধার্থশঙ্কর শর্মা। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছে, প্রতিষেধক প্রদানের ক্ষেত্রে আধার কার্ডকে একমাত্র পরিচয় পত্র হিসেবে গণ্য করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক একটি হলফনামা দাখিল করেছে। তাতে নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, কো-উইন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়, ন’টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি দেখানো যেতে পারে। টিকা নেওয়ার সময়ও আধার কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক নয়। সমস্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নীতি অনুসারে কাজ করতে হবে।’’
মন্ত্রকের আইনজীবী আমন শর্মা আদালতে জানিয়েছেন, করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষে্ত্রে আধার এক মাত্র পূর্ব শর্ত নয়। ৮৭ লক্ষ মানুষ কোনও পরিচয় পত্র ছাড়াই প্রতিষেধক নিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলাটিতে আবেদন করা হয়েছিল, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের কো-উইন পোর্টালে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হোক। ওই পোর্টাল আপডেটের আবেদনও করা হয়েছিল।
জনস্বার্থ মামলাকারী সিদ্ধার্থশঙ্কর জানান, যে ভাবে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হচ্ছে তা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নীতির বিরোধী।
দেশের সার্বিক করোনা চিত্র কিছুটা স্বস্তিদায়ক। দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ এক লক্ষের নীচে নামল। গত এক মাসে যা সর্বনিম্ন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আজ সকালে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, গত ৬ জানুয়ারির পরে এই প্রথম দৈনিক সংক্রমণ এক লক্ষের নীচে নামল।